বেঙ্গালুরুতে হয়ে গেল দুই দিনের আইপিএলে মেগা নিলাম। প্রায় ছয়শ ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি বেছে নিয়েছে ক্রিকেটারদের। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলেছে তারা ক্রিকেটারদের পেছনে। সবচেয়ে বেশি ১৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কিনে নিয়েছে ইশান কিষাণকে। এছাড়া দীপক চাহার, লিয়াম লিভিংস্টোনরাও কোটি কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছেন। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটাররা কীভাবে বেতন পান, সেই নিয়ম তৈরি করেছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
চলুন দেখে নেওয়া যাক নিয়মগুলো-
যে দামে কোনো ক্রিকেটারকে কেনা হয় সেটিই তার বেতন। দাম অনুযায়ী অবশ্য আয়কর দিতে হয় তাকে।
যে রুপি কোনো ক্রিকেটার পাচ্ছেন সেটি শুধুমাত্র তার, যার ওপর আর কারো দাবি নেই।
যে দামে কেনা হয়, সেটি ওই ক্রিকেটারের এক মৌসুমের বেতন। মানে কোনো ক্রিকেটারকে ১০ কোটি রুপিতে কেনা হলে তিনি তিন বছরের চুক্তিতে ৩০ কোটি রুপি পাবেন। তবে তিনি যদি ব্যক্তিগত কারণে ম্যাচ খেলতে না পারেন তা হলে রুপি কেটে নেওয়া হবে।
যদি কোনো ক্রিকেটারকে তিন বছরের চুক্তিতে কেনা হয় এবং চুক্তি শেষ হওয়ার পরে তাকে পরের মৌসুমের জন্য কোনো দল ধরে রাখতে চায়, তাহলে তার চুক্তি বাড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে তিনি আগের বছরের হিসেবেই রুপি পাবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজি আলোচনা করে দাম বাড়াতে পারে। সাধারণত কোনো ক্রিকেটারকে ধরে রাখলে রুপির অঙ্ক বাড়িয়েই তার চুক্তি বাড়ানো হয়।
যদি কোনো ক্রিকেটার পুরো মৌসুমের জন্য ফিট থাকেন, তাহলে তাকে পুরো রুপি দিতে হয়। তাকে কতটি ম্যাচে খেলানো হল সেই হিসাব সেখানে আসে না।
যদি কোনো ক্রিকেটার মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই চোট পেয়ে পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে যান তাহলে তাকে কোনো রুপি দিতে হয় না। কিন্তু কোনো ক্রিকেটার যদি মৌসুমের কয়েকটি ম্যাচই খেলতে পারেন তাহলে তাকে কেনা দামের ১০ শতাংশ ও তার পরে ম্যাচ পিছু রুপি দেওয়া হয়।
মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কোনো ক্রিকেটার তার ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারেন। যদি সেই আবেদনে ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজি হয় তা হলে তাদের সেই ক্রিকেটারকে তার চুক্তি অনুযায়ী পুরো টাকা দিতে হবে।
তবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের একই পদ্ধতিতে বেতন দেয় না। সেটা নির্ভর করে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি কতটা ধনী বা তাদের কত বিনিয়োগকারী রয়েছে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি একসঙ্গে পুরো রুপি দিয়ে দেয়। কেউ আবার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৫০ শতাংশ ও টুর্নামেন্ট চলাকালে বাকি বেতন টাকা দেয়। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি শুরুতে ১৫ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালে ৬৫ শতাংশ ও শেষে ২০ শতাংশ রুপি দেয়।
২০০৮ সালে যখন আইপিএল শুরু হয় তখন মার্কিন ডলারে কোনো ক্রিকেটারের দাম ঠিক করা হতো। এক ডলারের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৪০ টাকা ঠিক করা হয়েছিল। অর্থাৎ নিলামে যে দাম তিনি পেতেন তাকে ৪০ দিয়ে গুণ করে টাকা দেওয়া হত। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে ভারতীয় মুদ্রায় নিলাম শুরু হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার