জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বর্তমানে রয়েছে কিডনি রোগীদের জন্য দেড়শ’ বেড। শিগগিরই তা দেড়শ’ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। এতে দেশে কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। তারা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের একমাত্র সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে কিডনি হাসপাতালে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘নামমাত্র খরচে এই হাসপাতালে আবারও কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনজন রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই তিনজন ছাড়াও এই মাসে আরও পাঁচজনের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে।’
ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের এই হাসপাতালে ডাক্তার-নার্সের অভাব নেই। দেড়শ’ বেডের জনবল দিয়ে আমরা ৫০০ বেডের রোগীদেরও সেবা দিতে পারব। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ কিডনি রোগী এখানে আসে। শিশু কিডনি রোগীও আসে গড়ে ৫০ জন। এসব রোগীদের মধ্যে ১৫০ জন থাকেন ভর্তি রোগী। যাদের আমরা ভর্তি করতে পারি না। ৫০০ বেড হয়ে গেলে সবাইকে ভর্তি করতে পারব।
‘রোগীদের চাপের কারণে সংশ্লিষ্ট কিডনি ইউনিট দেড়শ’ থেকে পাঁচশ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে আমাদের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবলের সংকট রয়েছে। দ্রুত লোকবল পেলে, শিগগিরই চালু করা সম্ভব হবে। সেটা যদি সময়সাপেক্ষ হয়, তাহলে আউটসোর্সিংয়ে কিছু লোক নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করছি। আমাদের যদি সহযোগিতা করা হয়, আমাদের হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী ফিরে যাবে না।”
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে দুই লাখ টাকায় লেপেরোস্কোপি সার্জারি করা হয়। অথচ আমাদের হাসপাতালে মাত্র দশ টাকার একটি টিকিট কাটলেই আমরা এটি করতে পারব। এর বাইরে কোনো টাকা প্রয়োজন হবে না। আমাদের দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যে কারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডোনার পাওয়া পাওয়া যায় না। ডোনার পেলে কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রমে আরও গতি আসবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল।
এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে।