বিনোদন

সৈকতে বাঁধনহারা বাঁধন

উত্তাল সমুদ্রে নেমেছে নীল আকাশ। জলের উঠা-নামার খেলায় তাতে জমেছে সফেদ ফেনা। এই জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তার পরনে সাদা রঙের টপস; কাঁধে ঝুলানো ব্যাগে। চোখে রোদচশমা। তার চোখে-মুখে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতোই বয়ে যাচ্ছে আনন্দের জলতরঙ্গ। হাত উঠিয়ে যেন বলছেন—‘আমিও উড়ে যাব মুক্ত বিহঙ্গের মতো।’

আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। জানা যায়, ভারতের কেরালার কোভালাম সমুদ্র সৈকতে তোলা হয়েছে ছবিটি। কেরালার ত্রিভেন্দ্রম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত। চলতি মাসে ভারতের কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। কাজ শেষে সৌন্দর্যে ঘেরা এসব মনোরম স্থানে সময় কাটান তিনি।  

 

গত ১৮ মার্চ শুরু হয় ভারতের কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। উদ্বোধনী মঞ্চে প্রদর্শিত হয় বাঁধন অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিনেমাটি প্রদর্শিত হওয়ার পর ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাঁধন। উৎসবের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বাঁধনের ছবি শেয়ার করে বলা হয়েছে—‘নিখুঁত আজমেরী হক বাঁধন।’

বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত কেরালা উৎসবের জন্য প্রথম সিনেমা এটি, যা কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল। এটি পরিচালনা করেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ক্ষমতা কাঠামোর কারণে সৃষ্ট নারীদের সমস্যাগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। আগামী ২১ ও ২৩ মার্চ সিনেমাটি এই উৎসবে আবারো প্রদর্শিত হবে।

একটি বেসরকারি মেডিক‌্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে এ চলচ্চিত্রের গল্প। কর্মস্থলে ও পরিবারে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। কারণ, শিক্ষক, চিকিৎসক, বোন, কন্যা ও মা হিসেবে জটিল জীবনযাপন করেন তিনি। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন।

বাঁধন ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম, আফিয়া জাহিন জায়মা, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই, ফারজানা বীথি, জাহেদ চৌধুরী মিঠু, খুশিয়ারা খুশবু অনি, অভ্রদিত চৌধুরী।