খেলাধুলা

মাশরাফির ২০ উইকেট, নিজের বোলিংয়ে কতটা সন্তুষ্ট?

বয়স বেড়েছে, শরীরও আগের মতো সায় দেয় না ঠিকঠাক। তবুও মাশরাফি মুর্তজার বোলিং কিংবা উইকেটের ক্ষুধা একটুও কমেনি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দেশি-বিদেশি নিয়মিত পারফর্মারদের ছাপিয়ে আলো ছড়িয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক।

সদ্য শেষ হওয়া এবারের আসরে মাশরাফি নিয়েছেন ২০ উইকেট। বোলিং গড় ২৯.৭৫,  ইকোনমি ৫.৪৫ ও স্ট্রাইক রেট ৩২.৭।  সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় পেসারদের মধ্যে চতুর্থ, দেশি পেসারদের মধ্যে তৃতীয়। সব মিলিয়ে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছেন মাশরাফি।

অথচ ডানহাতি পেসারের খেলা নিয়েও ছিল কিছুটা অনিশ্চয়তা। দলবদলের পরে কোমরের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ভারতে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দেশে ফিরেই খেলতে নামেন ঢাকা লিগে। প্রথম ম্যচে বাদে সবগুলো ম্যাচ খেলেছেন। শুধু খেলেনইনি, নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে সামনে থেকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয় তার দল রূপগঞ্জ। 

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মাশরাফি জানান, ফিট থাকলে আরেকটু ভালো করতে পারতেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তো পারফর্ম করলে ভালো লাগে, অন্যরকম ভালো লাগছে। হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারতাম, যদি ফিট থাকতাম। তবু ঠিক আছে, আলহামদুলিল্লাহ।’

‘আমার কাছে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল টিমটা নিয়ে। আমরা মডারেট একটা দল ছিলাম। সেখান থেকে লিগের চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ ম্যাচের আগে আমরা ছিটকে গিয়েছি। যেটা সবসময় বলি, চ্যাম্পিয়ন হতে শুধু ভালো খেললে হয় না, একটু ভাগ্যও দরকার হয়। সেই ভাগ্যটা আমাদের হয়তো ছিল না। তবু আলহামদুলিল্লাহ, রানার্সআপ হয়েছি’-আরো যোগ করেন মাশরাফি।

বল হাতে ধারাবাহিক ছিলেন মাশরাফি। নিয়মিত উইকেটের পাশাপাশি রান দেওয়াতেও ছিলেন মিতব্যয়ী। সেরা বোলিং ফিগার ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট। তবে মাশরাফির কাছে সেরা আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে পাওয়া ৩ উইকেট। তার ব্রেক থ্রুতেই আবাহনীর বিপক্ষে ১৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আউট করেছিলেন দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয় (৭৪) ও মোসাদ্দেক হোসেনকে (৬৬)। এতেই ম্যাচ চলে আসে রূপগঞ্জের পকেটে।

মাশরাফি বলেন, ‘ওরকমভাবে তো খেয়াল করিনি। তবে আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচটায় ভালো বোলিং করেছি। ওইটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। মাঝে যখন জুটি হচ্ছিল, তখন ৩ উইকেট পেলাম... ম্যাচটা জিতলাম, ওইটা আমার বেশি ভালো লেগেছে।’