রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদের দিনে ধনী-গরিব সবাই পরিবার নিয়ে ভালো কিছু খেয়ে দিনটি উদযাপন করতে চান। এদিনে সবাই কম বেশি পোলাও, মাংস, খিচুড়ি, মুরগী- এমন ভালো ভালো খাবার রান্নার চেষ্টা করেন। রোজার শুরুতে গরুর মাংসের দাম ৬০০-৬৫০ টাকায় গিয়ে থিতু হয়। কিন্তু গত ৪-৫ দিন ধরে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। কোথাও কোথাও ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা। তারপরও ক্রেতাদের চাপে লাইন ধরে মাংস কিনছেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার (২ মে) রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে গরুর মাংসের দোকানের সামনে মানুষজনকে লাইন ধরে মাংস কিনতে দেখা গেছে।
মাহমুদ কাজ করেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তিনি বলেন, সামর্থ্য থাক বা না থাক, পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনা করে দুই কেজি গরুর মাংস কিনলাম। ১৫০০ টাকা নিলো। তার মধ্যে আধা কেজির মতো হাড় দিয়েছে। কিছু বলার নেই। এত মানুষ কিনছে, ওদের সঙ্গে কথাই বলা যাচ্ছে না।'
হাতিরপুলের মাংস বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই আমরা ৭০০ টাকা করে মাংস বিক্রি করছি। আমাদের দোকানের মতো সলিড দেশি গরু কোথাও পাবেন না। অন্য অনেক জায়গায় ৭৫০ টাকাও বিক্রি করছে।
পাশের দোকানি মিন্টু মিয়া তার দোকানের ওপারে ফুটপাতে বাঁধা ৬/৭টি গরু দেখিয়ে বলেন, আমাদের গরু এই বাজারের সেরা। সকাল থেকে ৫/৬টি গরুর মাংস বেচা শেষ। রাত দশটার মধ্যে বাকিগুলোও শেষ হবে। ঈদ উপলক্ষে গরু প্রতি ৫/৭ হাজার টাকা দাম বেড়েছে বলে মাংসের দাম ৭৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গরুর মাংস কিনতে আসা দিদার হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, কোনো কিছুর দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের কারণ লাগে না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে এটা-সেটার দাম বাড়ায়। এবার বাড়িয়েছে মাংসের দাম। ওরা জানে, ৮০০ টাকা হলেও আজ মানুষ মাংস কিনবে। তাই মানুষকে জিম্মি করেছে এরা। বাজার মনিটরিং বা শাস্তি হয় না বলে এরা এত সাহস পায়।