জাতীয়

জাতীয় চিড়িয়াখানায় উপচেপড়া ভিড়   

ঈদের পরের দিন জাতীয় চিড়িয়াখানায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদিন সকাল থেকেই ঈদ আনন্দে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। দুপুরের পর থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে।

বুধবার (৪ মে) রাজধানী মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সকাল থেকেই প্রিয় মানুষদেরকে সঙ্গে নিয়ে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় এসেছেন। বানর, ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, হরিণ, সাদা হিংস, উটসহ বেশ কয়েকটি সেডের সামনে উৎসুক মানুষজনের ভিড় ছিল। তাদের কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে প্রাণিদের খাবার দিচ্ছেন।

পরিবার নিয়ে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছিলেন উত্তারার আজমপুর থেকে রিপন হাওলাদার।  তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আত্মীয়দের অনেকেও গ্রামের বাড়িতে গেছে।  তাই পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছি। চিড়িয়াখানা আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে। 

মহাখালী থেকে শামিম জাকারিয়া ও তার স্ত্রী চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন। এই জুটি জানালেন, ছুটিতে সময় কাটানোর জন্য চিড়িয়াখানায় এসেছি। এখানে পশুগুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। চিড়িয়াখানার পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভাল। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৮৬ একর জায়গা। বর্তমানে জাতীয় চিড়িয়াখানায় আট প্রজাতির ৩৮টি মাংসাশী প্রাণী, ১৯ প্রজাতির বড় প্রাণী (তৃণভোজী) ২৭১টি, ১৮ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ১৯৮টি প্রাণী রয়েছে।  ১০ প্রজাতির সরীসৃপ ৭২টি, ৫৬ প্রজাতির ১ হাজার ১৬২টি পাখি, একুরিয়ামে রক্ষিত মাছ প্রজাতির মধ্যে ১৩৬ প্রজাতির ২ হাজার ৬২৭টি প্রাণী। চিড়িয়াখানায় ১৩৭টি খাঁচায় এসব প্রাণীদের রাখা হয়েছে। 

জাতীয় চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ঈদের দিন দর্শনার্থীও হয়েছে ২৮ হাজার। বর্তমানে প্রতিটি টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। এই খাত থেকে ঈদের দিনে ১৪ লাখ টাকার বেশি আয় হয়েছে। আজ আবহাওয়া ভালো থাকলে দর্শনার্থী আসবে ৪০ থেকে  ৫০ হাজার। 

তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানায় সাত ভাগে ভাগ হয়ে ৬৪ জন কাজ করছেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার বাহিনী।

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর (ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) মো. মজিবুর রহমান বলেন, ঈদের দিন কিছুটা কম হলেও আজসহ সামনের কয়েকদিন দর্শনার্থী আরও বাড়বে।