রাইজিংবিডি স্পেশাল

তামাকে নিকোটিন কমানো কেন জরুরি

২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। প্রতিবারের বাজেটে তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানো হচ্ছে, যাতে দাম বেশি হওয়ার কারণে তামাকের ব্যবহার কমে। এতে অনেকটাই সুফল পাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি  স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিকোটিনেই ধূমপায়ীদের আসক্তি তৈরি হয়। নিকোটিনের আসক্তিজনিত বৈশিষ্ট্যের কারণেই ধূমপান ছাড়া যায় না। তাই, সিগারেটে নিকোটিন কমানো হলেও ধূমপানের হার কমবে।

সিগারেটে যেসব বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে, তার মধ্যে নিকোটিন অন্যতম। সিগারেটে আসক্তির জন্য দায়ী নিকোটিন। ধূমপায়ী চাইলেও যে খুব সহজে ধূমপান ত্যাগ করতে পারে না, তার কারণ, নিকোটিনের ওপর তার মনোদৈহিক নির্ভরশীলতা।

প্রতি বছর বাজেটে তামাকপণ্যের ওপর কর বাড়ানো হয়। দাম বাড়িয়ে পরিকল্পনা করা হয় তামাক ব্যবহার কমানোর। দাম বাড়ার কারণে সাধারনত বেশি দামের সিগারেটের ব্যবহার কমছে, বরং বেশি দামের ব্র্যান্ডের বদলে ভোক্তাদের কম দামের ব্র্যান্ডের সিগারেট ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গেছে। তাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তামাকপণ্যে কর বাড়ানোর সাথে সাথে সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ কমিয়ে আনলে এর ব্যবহার কমার গতি বাড়বে।

সাধারণত সিগারেটে প্রতি গ্রাম তামাকে ১২ মিলিগ্রাম নিকোটিন থাকে। নিকোটিনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা হতে পারে ০.৪ মিলিগ্রাম। এর নিচে যদি রাখা যায়, তাহলে ধূমপায়ীদের মধ্যে আসক্তি তৈরি হবে না। কিন্তু, তামাক কোম্পানিগুলোর এত বেশি নিকোটিন ব্যবহারের অন্যতম কারণ ধূমপায়ী তৈরি করা এবং ধরে রাখা। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে যদি সিগারেটে নিকোটিনের ব্যবহার কমানো যায়, তাহলে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমবে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা উন্নয়নকর্মীদের মতে, বছরের পর বছর ধরে তামাকবিরোধী আন্দোলন চলছে। কিন্তু তামাকমুক্ত বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন এখনও সুদূরপরাহত। এর কারণ, নতুন ধূমপায়ী তৈরি হওয়া রোধ করা যাচ্ছে না। কর বা দাম বাড়িয়েও এর ব্যবহার কমানো যাচ্ছে না। এজন্য দরকার সিগারেটের প্রতি আসক্তি কমানো, যা নিকোটিনের মাত্রা কমিয়ে সম্ভব।

তামাকমুক্ত বিশ্ব অর্জন করতে যে সময় লাগবে তার মধ্যে তামাকের ক্ষতিকারক ভূমিকার কারণে হৃদরোগ, ক্যান্সার, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে অনেক প্রাণ ঝরে যাবে। তাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপেক্ষা করার চেয়ে তামাকের ক্ষতিকারক দিক হ্রাস করাই সমীচীন।

১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে তামাক কোম্পানিগুলো বানর, ইঁদুর ইত্যাদির ওপর পরীক্ষা চালিয়ে খুঁজে পায়, নিকোটিন প্রাণীকে আসক্ত করে। অর্থাৎ নিকোটিনের কারণে একদিকে যেমন ধূমপায়ীর ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে এটির কারণে সে সিগারেট ছেড়ে দিতে পারছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিটি সিগারেটে থাকে ৭ হাজার ধরনের রাসায়নিক। এর মাঝে সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো নিকোটিন। নিকোটিন তৈরি হয় তামাক পাতা থেকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের রক্তে নিকোটিনের মাত্রা সিগারেটের ব্র্যান্ডের ভিন্নতার কারণে খুব একটা হেরফের হয় না। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ধূমপায়ীদের রক্তে নিকোটিনের মাত্রা খুবই কাছাকাছি থাকে। এ ক্ষেত্রে কে কোন ব্র্যান্ড গ্রহণ করছে, সেটি কোনো ব্যাপার নয়।

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সজল আশফাক বলেছেন, ‘হালকা সিগারেট কম ক্ষতিকর—এমন ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে অনেক গবেষণা। ১৯৮৯ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় হালকা ব্র্যান্ডের সিগারেট এবং কড়া ব্র্যান্ডের সিগারেটসেবী উভয়ের ক্ষেত্রেই ধূমপানজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি সমান দেখা বলে প্রমাণ হয়েছে। ধূমপানের ক্ষতি নির্ভর করে কে কতটা গভীরভাবে, কতটা জোরে সিগারেটের ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে টেনে নিল, দিনে কত বেশি ধূমপান করল এবং কতটা খাটো সিগারেট পান করল তার ওপর। সিগারেট যতই দামি কিংবা হালকা হোক না কেন, ক্ষতি করার বেলায় সব সিগারেটই সমান পারদর্শী। সিগারেটের নাম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে মাত্র।

নিকোটিনের প্রথম ব্যবহার কীটনাশক হিসেবে: তামাক ইউরোপে প্রথম পরিচিতি লাভ করে ১৫৫৯ সালে। সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আড়াই হাজার টন নিকোটিন কীটনাশক (তামাক কারখানার বর্জ্য) বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। মানুষের জন্য কম ক্ষতিকর অন্যান্য কীটনাশক আবিষ্কৃত হওয়ায় এর ব্যবহার কমে আসে। ১৯৮০ সালের মধ্যে এর ব্যবহার ২০০ টনে নেমে আসে।

নিকোটিন আসক্তিতে দায়ী জিন চেইন স্মোকার হয়ে ওঠার পেছনে মূলত এ জিনগত ঝুঁকি দায়ী। যেসব কিশোর ধূমপান শুরু করেছে বয়স ১৫ হতেই, তাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশের এতে নিয়মিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া, ১৮ বছর বয়সের মধ্যে তাদের ৪৩ শতাংশের প্রতিদিন এক প্যাকেট বা তার বেশি সিগারেট প্রয়োজন হতে পারে।

জিনগত কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণেই মানুষ কৈশোরে ধূমপান শুরু করে এবং পরে চেইন স্মোকার হয়ে যায়। এ বৈশিষ্ট্যের ফলেই একজন মানুষ পুরো জীবন কাটিয়ে দিতে পারে ধূমপায়ী হিসেবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা তাদের মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান করার পেছনে জিনগত বৈশিষ্ট্যের প্রভাব খোঁজার চেষ্টা করেন। নিউজিল্যান্ডের ১ হাজার অধিবাসীর ওপর জন্মের পর থেকে ৩৮ বছর পর্যন্ত তারা গবেষণা পরিচালনা করেন। ফলাফলে দেখা যায়, যাদের বেশি মাত্রায় জিনগত ঝুঁকি ছিল, তারা কৈশোর থেকেই ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এছাড়া, অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপানের প্রতিও তাদের আসক্তি থাকে (প্রতিদিন এক প্যাকেট বা তার বেশি)।

গবেষণায় দেখা যায়, ৩৮ বছর বয়সে এসে নিকোটিনের প্রতি তারা দারুণ আসক্ত হয়ে পড়েছেন। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল বেলস্কাইয়ের বরাত দিয়ে উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, জিনগত বৈশিষ্ট্যই তাদের ধূমপানে আসক্তির দিকে ধাবিত করে, কিশোর বয়স থেকেই যারা সিগারেট শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রচুর নিকোটিনে অভ্যস্ত হয়ে যান। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে যারা জিনগত ঝুঁকিতে আছেন, তাদের ২৭ ভাগ নিকোটিনে অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারেন। ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ২২ শতাংশ সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হবেন।

নিকোটিনের ক্ষতিকর দিক সিগারেটের উপাদানে আছে আর্সেনিক, টয়লেট ক্লিনারে ব্যবহৃত অ্যামোনিয়া, কীটনাশক ডিডিটি, নেলপলিশ রিমুভার অ্যাসিটোন, ব্যাটারিতে ব্যবহৃত ক্যাডমিয়ামসহ আরও প্রায় ৭ হাজার কেমিক্যাল। অথচ, স্বেচ্ছায় এসব ঘৃণ্য জিনিস নিজেরা বুক ভরে টেনে নিচ্ছেন ধুমপায়ীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে ৬০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করছে এই তামাক সেবনের ফলে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ২০৩০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ লাখে। মনে করা হচ্ছে, তামাক সেবনের হার এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে মৃত্যু এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হবে তামাক সেবন।

তামাকজাত পণ্যগুলোতে ২৮টি বিভিন্ন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এজেন্ট বা কার্সিনোজেন শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ক্ষতিকারক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান হলো তামাক-নির্দিষ্ট নাইট্রোসামাইনস (টিএসএনএ)। টিএসএনএ ছাড়াও ধূমপায়ী তামাকের অন্যান্য কার্সিনোজেনগুলোর মধ্যে আছে, এন-নাইট্রোসামিনো অ্যাসিড, উদ্বায়ী এন-নাইট্রোসামাইনস, উদ্বায়ী অ্যালডিহাইডস, পলিনিউক্লিয়র অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (পিএএইচএস) এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন: পোলোনিয়াম-১১০ এবং ইউরেনিয়াম-২৩৫ ও ইউরেনিয়াম-২৩৮।

শ্বাসনালী ও ফুসফুসের অসুখের পাশাপাশি হার্টের অসুখের অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর ধুমপান। সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ায় আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা, হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজকর্ম সবই ওলোটপালট হয়ে যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশে ৩৫–৬৯ বছর বয়সে ৩৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর অন্যতম কারণ ধূমপান। যারা দিনে ২০টি বা তারও বেশি সিগারেট টানেন, তাদের হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার ঝুঁকি একজন অধূমপায়ীর থেকে ৭০ শতাংশ বেশি। ধূমপানে বাড়ে পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজের আশঙ্কা। অর্থাৎ পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের রক্তবাহী ধমনিতে কোলেস্টেরলের প্রলেপ জমে রক্ত চলাচল কমে যায়। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় পায়ে। ধূমপায়ীদের এই অসুখের আশঙ্কা অন্যদের থেকে ১৬ গুণ বেশি। মধ্য বয়সে পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজজনিত পায়ের ব্যথার রোগীদের ৯৫ শতাংশই ধূমপায়ী।

জীবনে একবারও সিগারেট-বিড়ি টানেননি, অথচ তামাকজনিত অসুস্থতার শিকার এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংয়ের কারণে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।

সিগারেটে নিকোটিনই কি আসক্তি উৎপাদক একমাত্র উপাদান? না, তা নয়। সিগারেটে মাইনর আ্যলকালয়েড, মেনথল, লেভোলিনিক এসিড, সুগার (এসিটালডিহাইড), অ্যামোনিয়া, মনো-অ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান, যেগুলোর আসক্তি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কাজেই শুধু নিকোটিন কমিয়ে সিগারেটের সামগ্রিক আসক্তি ঝুঁকি বিলোপন সম্ভব নয়। তবে, অন্যান্য উপাদানের তুলনায় নিকোটিনের উপস্থিতি যেমন বেশি, এটি কমানোও সবচেয়ে জরুরি।

তামাক চাষে অনুৎসাহিত করার বিষয়ে কিছু জার্নালে বলা হয়েছে, তামাক চাষের যে গতানুগতিক পদ্ধতি, তাতে বিভিন্ন পরিবর্তন করে, জেনেটিক মডিফিকেশন বা অন্যান্য ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং করে কম নিকোটিনসম্পন্ন তামাক উৎপাদন সম্ভব।

আরও যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন: নিকোটিন হ্রাসকরণ প্রচেষ্টার গতিবিধি সম্বন্ধে আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ধূমপানের মহামারি মোকাবিলায় নিকোটিনের পরিমাণগত দিকটির চেয়ে গুণগত দিকটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিষয়ে গবেষণাকর্মকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া, ধূমপানবিরোধী চলমান কার্যক্রমগুলো জোরদার করা প্রয়োজন।

তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি, তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা, জনগণকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা, তামাকবিষয়ক বিজ্ঞাপন, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ করা, ধূমপান ছেড়ে দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, তামাকের ব্যবহার তদারকিসহ তামাকবিরোধী কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

তামাকবিরোধী জোটগুলোর মতে, তামাকের ক্ষেত্রে যে কোনো অজুহাতে 'হ্যাঁ' বলার সুযোগ নেই। তামাক সর্বদা হত্যাকারী।

বাংলাদেশে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা অনুপস্থিত আছে বলে মনে করে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি-টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।

বিশেষ করে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে স্মোকিং জোন, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন এবং তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) প্রভৃতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ না থাকায় আইনটি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারছে না বলে মনে করে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এর কিছু ধারা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এগুলো হলো—শতভাগ ধূমপান বন্ধ নিশ্চিতে উন্মুক্ত স্থানে (পাবলিক প্লেস) ধূমপান নিষিদ্ধ করতে হবে। বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

ই-সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করা, তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার বাড়ানো, সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) নামে সিগারেট কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা এবং বিক্রির স্থানে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে।