উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে ক্লথিং ব্র্যান্ড ‘ট্রাফিক’

২০১৯ সাল। সময় গড়িয়েছে মাত্র তিন বছর। এই স্বল্প সময়েই ফ্যাশন সচেতন তরুণদের মনে স্থান করে নিয়েছে মেনজ ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ট্রাফিক’। চট্টগ্রামের দুই তরুণ উদ্যোক্তার কঠোর পরিশ্রম, মেধা আর সৃজনশীল কর্মদক্ষতায় ট্রাফিক ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। 

উদ্যোক্তারা হলেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন এবং ফ্যাশন ডিজাইনার এ এম ইফতেখার। ফ্যাশন নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ব্র্যান্ডটি এখন শিক্ষিত বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করছে। 

ট্রাফিক ক্লথিং ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার এ এম ইফতেখারের দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা ২০১৯ সালে মেনজ ক্লথিং ব্র্যান্ড ‘ট্রাফিক’র যাত্রা শুরু করি। আমাদের ক্রিয়েটিভ ডিজাইন, নান্দনিক উপস্থাপনা, পণ্যের মান এবং বিশ্বমানের ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কারণে ট্রাফিক ব্র্যান্ডের পণ্য ফ্যাশন সচেতন তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সময় পেরিয়েছে মাত্র তিন বছর। এই সময়ে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ ফ্যাক্টরি এবং চট্টগ্রামের অভিজাত শপিং মলগুলোতে ৪টি আধুনিক শো-রুম চালু করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের কারখানা এবং শো-রুমগুলোতে বর্তমানে শতাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে।’

ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়াও সারাদেশের বড় বড় শহরগুলোতে ট্রাফিক ব্র্যান্ডের আউটলেট চালুর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘গুণগত মানে সেরা এবং আন্তর্জাতিকমানের সেরা ডিজাইনে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা আমাদের ফ্যাক্টরির পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি। বর্তমানে আমাদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা এই সংখ্যা এক হাজারে উন্নীত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য শুধু ব্যবসা নয়, তরুণদের কর্মসংস্থার সৃষ্টি করে বেকারত্ব মোচনে ভূমিকা রাখা। দীর্ঘ পরিকল্পনায় আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি।’ 

ট্রাফিক ব্র্যান্ডের অন্যতম উদ্যোক্তা, ফ্যাশন ডিজাইনার এ এম ইফতেখার বলেন, ‘স্বতন্ত্র ডিজাইন শৈলী এবং বিশ্বমানের পণ্য তৈরির কারণে আমাদের জেন্টস ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্টসহ পুরুষদের সব ধরনের পণ্যই ব্যাপক জনপ্রিয়। আমরা আমাদের এই ব্র্যান্ড সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে।’