প্রবাস

লন্ডনে আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মরণে ভার্চুয়াল স্মরণ সভা

কিংবদন্তী লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত‌্যুতে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে’ ভার্চুয়াল স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২৮ মে) ‘আমি কি ভুলিতে পারি’ শীর্ষক শিরোনামে স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

ভার্চুয়াল আলোচনায় গাফফার চৌধুরীর কন্যা ড. তনিমা চৌধুরী বলেন, ‘বাবা ছিলেন আমার জীবনে বট গাছের মতো। ছোট বেলায় আমি বাবার কাঁধে বসে থাকতাম। যদিও গাফফার চৌধুরী বাঙালি জাতীর একজন আইকন, কিন্তু আমার কাছে তিনি শুধুই একজন বাবা। বাবা হিসেবে তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তিনি আমাদের সহযোগিতা করতেন। তবে মৃত্যুর ৩৫ দিন আগে বিনিতার মৃত্যুতে তিনি সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছিলেন। দুজন দুই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ডাক্তারদের অনুমতি না পাওয়ায় পিতা-কন্যার শেষ দেখা হয়নি।’

ড. তনিমা বলেন, ‘‘বিনিতা বাবাকে বলেছিল, ‘বাবা আমি যদি তোমার আগে যাই আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। তুমি আমার আগে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করো।’ বাবা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে এতটাই ভালবাসতেন যে ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাবা প্রথম কেঁদেছিলেন।”

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে’র ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও অনুষ্ঠানের চেয়ার বিধান গোস্বামী আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফফার চৌধুরী চেয়ার স্থাপনের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানের মডারেটর সাংবাদিক তানভীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবদুল গাফফার চৌধুরী নামে ফেলোশিপ প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র অ্যালামনাই ও ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব‌্যারিস্টার অজয় রায় রতন, সোনালী ব্যাংক ইউকের সাবেক সহকারী প্রধান নির্বাহী আমীরুল ইসলাম, প্রদীপ মজুমদার, ঝুমুর দত্ত, পুস্প দেব, ফাতেমা লিলি, চিত্রকর মাসুদ মিজান, মোকাররম হোসেন, সাংবাদিক এম কে জিলানী, জুনায়েদ আরিফুর রহমান, সুলতানা রশীদ নাসরিনসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অতিথিরা দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। সেসময় অমর একুশের সঙ্গীত রচনার প্রেক্ষাপটের ওপর ধারণ করা সাক্ষাৎকার ‘রক্তে রাঙানো একুশের সত্তর’ এর ধারণকৃত অংশ প্রচার করা হয়।