পজিটিভ বাংলাদেশ

গাছের শাখায় ঝুলছে থোকায় থোকায় আম

দিনাজপুর জেলায় চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ বছর জেলার ১৩টি উপজেলার ৬ হাজার বাগানে আম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং গুটি নষ্ট না হওয়ায় ফলটির ভালো ফলন হওয়ার অন্যতম কারণ। 

জেলার হিলি, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন আমের বাগান ঘুরে দেখা যায়, আম রুপালী, হাঁড়িভাঙা, ফজলি ও নাগ ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিচি থেকে উৎপাদিত এসব আমে ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করেছে। তবে কলম করা গাছগুলোতে থাকা আম রুপালী, হাঁড়িভাঙা আম এখনো পাকতে শুরু করেনি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব গাছের আমও পাকতে শুরু করবে। 

ঘোড়াঘাটের নিতাইশা গ্রামের ২০ বিঘা জমির উপরে লাল বাবুর আমের বাগান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এই বাগানে আম রুপালীর গাছ রয়েছে ১ হাজার ৮০০টির মতো। প্রতিটি গাছে প্রচুর আম ধরেছে। আমের ভারে গাছের ডালগুলো মাটিতে নুয়ে পড়ছে। ৫ বছর আগে এই বাগানটি তৈরি করেন লাল বাবু। প্রতিটি আম রুপালীর গাছ কলমে তৈরি করা। তাই দুই বছর পর থেকেই তিনি ফল পাচ্ছেন। এ বছর প্রচুর আম ধরেছে তার গাছগুলোতে। ফলে অনেক টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাগান মালিক লাল বাবু রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাগানটি তৈরি করতে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাগানে ১ হাজার ৮০০টি আম রুপালীর গাছ আছে। তিন বছর হলো আমি এখান থেকে ফলন পাচ্ছি। এ বছর আল্লাহর রহমতে প্রতিটি গাছে অনেক আম ধরেছে। আশা করছি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবো।’ 

হাকিমপুর কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দিনাজপুর জেলায় এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। হিলি এবং এর আশেপাশের ঘোড়াঘাট, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় আমের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এবার হিলিতে ৪৭ হেক্টর জমিতে ১৪৫ টি আম বাগান রয়েছে।’

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৬৯১ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার বাগানে আমের চাষ হচ্ছে।