স্বাস্থ্য

রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান

সবাইকে রক্তদানের মাধ্যমে অন্য মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস -২০২২ পালন অনুষ্ঠা‌নে তি‌নি এ আহ্বান জানান। 

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের সামনে দিবসটি উপলক্ষে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ একটি শোভাযাত্রা বের করে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডোনেটিং ব্লাড ইজ অ্যান অ্যাক্ট অব সোলিডারিটি, জয়েন দ্য ইফোর্ট অ্যান্ড সেভ লাইভ’ অর্থাৎ রক্তদান একটি সম্মিলিত প্রয়াস, এই প্রয়াসে সংযুক্ত হন, রক্তদান করুন ও জীবন বাঁচান।

শোভাযাত্রা শে‌ষে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় রক্ত সঞ্চালন বিভাগ নিয়ে গর্ব করে। রক্ত সঞ্চালন বিভাগটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর নিজে উদ্বোধন করেন। রক্ত সঞ্চালন বিভাগটি ইতিহাসের অংশ।

তি‌নি ব‌লেন, আমরা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করি। এখা‌নে কর্মরত যারা রয়েছেন তারা দিন রাত পরিশ্রম করে মানুষরে জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন। জীবন বাঁচানোর একটি অংশ হল রক্তদান। বছরে তিন বার রক্ত দিলেও কোনো সমস্যা হয় না বরং রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সবাইকে রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর আহ্বান জানাই।  

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো.  শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রক্ত দানে মানুষ সুস্থ থাকে, কর্মক্ষম থাকে। মানুষের জীবন বাঁচাতে যে মহান ব্যক্তি প্রথম রক্ত দিয়েছিলেন সেদিন হিসেবে প্রতিবছর ১৪ জুন সারা বিশ্বে রক্তদাতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 

এসময় হাসপাতা‌লে কর্মরত সকল চি‌কিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ব‌লেছিলেন চিকিৎসকরা যেনো সব রোগী‌কে সমান চোখে দেখেন এবং সেভাবেই সেবা দেন। আমরা যেনো তা পালন করি।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারি অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন, কাউন্সিলর ও মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।