অন্য দুনিয়া

থাকা খাওয়ার জন্য ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে জেলে

জেলে গেলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হবে এমন পরিকল্পনা করে বড় ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে থানায় আত্মসমর্পন করেন ছোট ভাই। কিন্তু পরে জানা যায় পুরোটাই সাজানো নাটক।

ঘটনাটি দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর নিরঞ্জন পল্লির। দেবাশিষ চক্রবর্তীর (৪৮) একটি ছোট ঘরে থাকতেন ছোট ভাই শুভাশিষ চক্রবর্তী। কিন্তু সম্প্রতি বড় ভাইকে হত্যার দায়ে থানায় আত্মসমর্পন করেন শুভাশিষ। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে মুখে বালিশ চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেন। কিন্তু মৃতের শরীর বা বিছানায় কোনো ধস্তাধ্বস্তির চিহ্ন না থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মূল তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

যাদবপুরের সিরামিকস ইন্সটিটিউটের কর্মী ছিলেন দেবাশীষ। কিন্তু কর্মরত অবস্থায় তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা পেনশন পেতেন। তাদের মা-ও মৃত্যুর আগে ৩৫ হাজার টাকা পেনশেন পেতেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু গত মে মাসে মা ও সম্প্রতি বড় ভাইয়ের মৃত্যু ও বেকারত্ব মিলিয়ে শুভাশিষ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতেই ভাইকে হত্যার করার নাটকের আশ্রয় নেন।

বড় ভাইয়ের খরচেই চলতো সংসার। কারণ ২০১৭ সাল থেকে বেকার শুভাশিষ। এই অবস্থায় সেরিব্রাল স্ট্রোকে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়। থাকা খাওয়ার কী ব্যবস্থা হবে সেটি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে সবকিছু ভেবে খুনের দায়ে জেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন শুভাশিষ। বুদ্ধিটা নাকি মৃত্যুর আগে তার বড় ভাই দেবাশীষই দিয়েছিলেন।