পজিটিভ বাংলাদেশ

প্রতিদিন বাজারটিতে বিক্রি হয় ৩৫ কোটি টাকার আম 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ফলন কম হলেও কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন বাগান মালিকরা। আগের বছরগুলোতে গুটি জাতের আম প্রতিমণ হাজার টাকা দাম দিয়ে বেচাকেনা শুরু হলেও এ বছরে দ্বিগুন দাম পাচ্ছেন তারা। কানসাটের আম আড়তদার সমিতি জানিয়েছে, প্রতিদিন ৩০০  ট্রাকেরও বেশি আম লোড হয়ে বাহিরের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।প্রতিদিন এই বাজারটিতে ৩৫ কোটি টাকারও বেশি আম বেচাকেনা হচ্ছে। 

জানা গেছে, এ বছর গুটি জাতের আম ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। যা গেলো কয়েক বছরের আম মৌসুমের শুরুর দামের চেয়ে দ্বিগুন। ল্যাংড়া আম রকম ভেদে ৩ হাজার ৮০০- ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০-৩ হাজার টাকা মণ। এছাড়া ক্ষিরশাপাত ৩ হাজার -৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

এদিকে বাজারে আসতে শুরু করেছে ফজলি আম। এ আমের দাম এখন ১ হাজার ৫০০-২০০০ টাকা মণ পর্যন্ত উঠছে। গেলো বছরে ফজলি আম ৫০০-৭০০ টাকা মণে বিক্রি হয়েছিল।

আমের বাগান মালিক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর পর এবার আমের অনেক দাম। এবার আমের ফলন কম হয়েছে। বাগানে যা টাকা খরচ করেছিলাম, পুঁজি উঠে লাভের টাকা থাকবে। এখন পর্যন্ত আমের বাজার দর ভালো আছে।’

অপর আম বাগানি সাইফুল বলেন, ‘এ বছরে প্রথম দিক থেকেই আমের দাম চড়া। বন্যার কারণে আমের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়লেও এখন বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে।'

কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, ‘কানসাট আম বাজার থেকে প্রতিদিন ৩০০ ট্রাকেরও বেশি আম লোড করা হয়। এ আম বিভিন্ন জেলার বাজারে সরবারহ করেন ব্যাপারীরা। প্রতিদিন ৩৫ কোটি টাকারও বেশি আম বেচাকেনা হয় এই বাজারে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার মৌসুমের শুরু থেকে আমের দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। এবার জেলায় ২ হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে আমের বাজার চড়া হওয়ায় আরো বেশি টাকার আম বিক্রি হতে পারে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সসম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হচ্ছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক চন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরণ হবে।'