স্বাস্থ্য

‘করোনার চতুর্থ ঢেউ, তবে এখনই লকডাউন নয়’

দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে। এ ঢেউ মোকাবিলায় সবার মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি সবাইকে হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি করোনার এই নতুন ধরন মোকাবিলায় যারা এখনও টিকা নেননি, তাদের দ্রুত নেওয়ার আহ্বান জানান।

সোমবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনার এই নতুন ধরন দ্রুত ও ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে, করোনার এই নতুন ধরনে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি। তবে বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না বলেও সতর্ক করে দেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনার নাকে নেওয়ার ওষুধের ট্রায়াল শিগগির দেশে শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এ ওষুধ আমাদের দেশেই তৈরি হবে। এটি করোনার সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে।

তিনি আরও বলেন, শিগগির ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার টিকা দেওয়া হবে।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসির উপ-পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।