লাইফস্টাইল

ইয়ারফোন ব্যবহারে যে স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলা জরুরি

ডিজিটাল জীবনযাপনের অংশ হিসেবে হেডফোন, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। তবে দৈনন্দিন জীবনের এর যথেচ্ছ ব্যবহার করা উচিত নয় বলে বহুদিন থেকেই বলে আসছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

দীর্ঘসময় হেডফোন, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্য দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অডিওলজি প্র্যাকটিসেসের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ডা. ব্রিয়া কলিনস। তার মতে, হেডফোন, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোনের মতো লাইফস্টাইল ডিভাইস থেকে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া: হেডফোন, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন কানের মধ্যে সাউন্ড ইনটেনসিটি বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত দীর্ঘসময় ব্যবহার করলে সময় পরিক্রমায় শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।

কানের ভেতর অস্বাভাবিক শব্দ: এই লাইফস্টাইল ডিভাইসগুলোর ব্যবহার টিনিটাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। টিনিটাস হলো- বাইরের উৎস ছাড়াই কানের ভেতর অদ্ভুত শব্দ হওয়া।

খইল প্রতিবন্ধকতা: হেডফোন, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোনের ধরন এবং ইয়ার ক্যানালের আকার-আকৃতির ভিত্তিতে কানের ভেতর খইলের প্রাচীর তৈরি হতে পারে। ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডস কানের খুব গভীরে ঢুকালে এমনটা হতে পারে। খইলের প্রতিবন্ধকতা থেকেও শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।

সংক্রমণ: ঘনঘন হেডফোন, ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডস ব্যবহার করলে কানের ভেতর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। একসময় সংক্রমণও হতে পারে। এসব ডিভাইস খুব বেশি ব্যবহার করলে অথবা যথাযথভাবে ফিট না হলে কানে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে।

* ঝুঁকি কমাতে ‘৬০-৬০-৬০ নীতি’

এ ধরনের লাইফস্টাইল ডিভাইস যারা ব্যবহার করেন তাদের প্রতি শ্রবণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো- ঘণ্টার পর ঘন্টা কানে লাগিয়ে রাখবেন না এবং প্রয়োজন শেষে খুলে ফেলতে দেরি করবেন না। অনেককেই দেখা যায়, আশেপাশের শব্দ এড়াতে হেডফোন, ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডের সাউন্ড বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের অভ্যাস চলতে থাকলে একসময় শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা, উচ্চ সাউন্ডে শোনায় অনুৎসাহিত করেছেন।

এ জাতীয় ডিভাইস ব্যবহারে ডা. কলিনস ‘৬০-৬০-৬০ নীতি’ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। যার মানে হলো-  কানে লাগিয়ে ৬০ মিনিটের বেশি ব্যবহার করবেন না, ভলিউম ৬০ শতাংশের বেশি বাড়াবেন না এবং কমপক্ষে ৬০ মিনিট পার না হলে কানে পুনরায় হেডফোন, ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডস লাগাবেন না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে ব্যবহার করলে স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো যাবে বা ঝুঁকি কমবে।