রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমা সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনা চলাকালে যদি মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে তার পরিবার এককালীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পাবেন। তার জন্য শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ২৫০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জনানো হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জানান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আগামী জুলাই মাস থেকে ২৫০ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিয়ে বিমা সেবার আওতায় আসবে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জেনিথ ইন্স্যুরেন্সের ডেপুটি ভাইস-প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বিমার আওতায় থাকা অসুস্থ হওয়া কোনো শিক্ষার্থী যদি হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমা সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে এক দিনের চিকিৎসা ব্যয় ২০ হাজার হলেও ক্লেইম করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, হাসপাতালের বিলের কাগজপত্র অথবা ভাউচার জমা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জন্মগত কোনো ব্যধি ও দীর্ঘ চলমান অসুখের ক্ষেত্রে বিমা সেবা পাবে না শিক্ষার্থীরা। বিমার আওতায় প্রায় শতাধিক হাসপাতালে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আরও অধিক হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা সবার জন্য চিকিৎসা বিমা বাধ্যতামূলক করেছি। বিমার বিভিন্ন মেরিট-ডিমেরিট বিবেচনা করা আমরা আগামী জুলাই থেকে এ কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেই জন্য বিমার সকল কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। সব শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল থাকবে ওয়েবসাইটে সেখান থেকে ক্লেইম করে শিক্ষার্থীরা টাকা গ্রহণ করতে পারবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক (অব.), রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন পায় শিক্ষার্থীদের বিমা পরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুসারে বিমা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়।