শিক্ষা

পদ্মা সেতুর আনন্দ নষ্ট করতে শিক্ষক লাঞ্ছনা, সন্দেহ শিক্ষা উপমন্ত্রীর

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার প্রাক্কালে ও তার পরবর্তী সময়ে সারা দেশে আনন্দ বয়ে গেছে। এ আনন্দ নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা নানা জায়গায় চেষ্টা করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও নানা ধরনের পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না, এমনটা বলা যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘শিক্ষক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড: ভূলুণ্ঠিত মূল্যবোধ ও মানবিকতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হয়ে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

উপমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। শিক্ষক হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’

নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা তদন্ত করছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, শিক্ষা অফিসারসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

আরও বক্তব্য রাখেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী।