আইন ও অপরাধ

শিক্ষক হত্যা: আদালতে যা বলল জিতু

‘একটা মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি উৎপল স্যার জানতে পারেন। সম্পর্কের কথা তিনি আমার পরিবারকে জানিয়ে দেন। এতে আমি তার ওপর ক্ষিপ্ত হই। এ কারণে স্যারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করি।’ 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে এসব কথা বলেছেন শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু।

বৃহস্পতিবার জিতুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমদাদুল হক। আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার (জেডিসি) সনদ অনুযায়ী জিতুর জন্ম ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি। সে হিসেবে মামলার ঘটনার তারিখে আসামির বয়স ছিল ১৯ বছর ৫ মাস ৮ দিন। হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো আসামির সম্পৃক্ততা বা ইন্ধন আছে কি না, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামির রিমান্ড প্রয়োজন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন। আদালতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে ঢাকার আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যান উৎপল। রোববার নিহত শিক্ষকের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে জিতুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।