অর্থনীতি

খেলাপি চামড়া ব্যবসায়ীরাও ঋণ সুবিধা পাবেন

আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশে চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা দেয় ব্যাংকগুলো। এবারও এই সুবিধা দেওয়া হবে। তবে খেলাপি চামড়া ব্যবসায়ীরাও শর্ত সাপেক্ষে এই ঋণ সুবিধা পাবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক যোগান আসে প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়া থেকে। এসময় চামড়া ব্যবসায়ীদের নিকট প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে চামড়া শিল্পের মূল্যবান কাঁচামাল সংরক্ষণের পাশাপাশি চামড়া ক্রয়-বিক্রয় কাজে সরাসরি জড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা আবশ্যক। তবে চামড়া শিল্পে বিরাজমান সমস্যাসহ কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে ইতিপূর্বে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিতরণকৃত বেশ কিছু ঋণ অনাদায়ী রয়েছে বলে জানা গেছে। এই বিষয়সহ নতুনভাবে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি, বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থা এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকটি এলাকায় সংঘটিত আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনান্তে, চামড়া ব্যবসায়ীদের (কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়/প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট ট্যানারি শিল্পসহ চামড়া খাতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/শিল্প) আগামী কোরবানির মৌসুমে প্রয়োজনীয় অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিচের নীতিমালা অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

কোরবানিকৃত পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশে ইতিপূর্বে বিতরণকৃত কোন ঋণ/ঋণের অংশবিশেষ খেলাপি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতার গোডাউনে স্টক অথবা সহায়ক জামানত থাকা সাপেক্ষে উক্ত খেলাপি ঋণের বিপরীতে ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পুনঃতফসিল করা যাবে।

পুনঃতফসিলিকরণ পরবর্তীতে ব্যাংকিং নিয়মাচার অনুসরণপূর্বক তফসিলি ব্যাংকসমূহ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা যাচাই সাপেক্ষে ২০২২ সালে কোরবানিকৃত পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

২০২২ সালে কোরবানিকৃত পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নতুন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট আদায় করা যাবে না। কোরবানিকৃত পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বরাদ্দকৃত ঋণের সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিতকরণসহ তৃণমূল পর্যায়ে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রমে জড়িতদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

শরীয়াহ্ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকসমূহ এই নীতিমালা অনুসরণ করে বর্ণিত উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করতে পারবে। এই সুবিধা ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।