আন্তর্জাতিক

লেবানন সেনাবাহিনীকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে কাতার

তীব্র অর্থ সংকটে থাকা লেবানন সেনাবাহিনীকে ৬০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশ কাতার।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দোহার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, লেবাননের প্রজাতন্ত্রের পাশে দাঁড়াতে কাতার তাদের এই সহযোগিতা দিচ্ছে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি লেবানন সফরে যাওয়ার আগমুহূর্তে এ সহায়তার ঘোষণা এলো।

কাতার বলছে, ভাতৃপ্রতিম লেবাননের জনগণের প্রতি দোহার সমর্থন ও আরব দেশের যৌথ পদক্ষেপের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরবে।

লেবাননের আর্থিক অবস্থার কথা তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক বলছে, ১৮৫০ সালের পরে দেশটি আর্থিকভাবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে।

ভূমধ্যসাগরীয় ক্ষুদ্র দেশটি ২০২০ সালে ঋণ খেলাপি হয়েছে। স্থানীয় বাজারে দেশটির মুদ্রা প্রায় ৯০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। এমনকি লেবাননের পাঁচজন মানুষের মধ্যে চার জনকে দরিদ্র বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে সেনাবাহিনীর বেতনেও টান পড়েছে। কমেছে সৈনিকদের বাজেট।

২০২০ সালে খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে কর্তব্যরত সৈন্যদের খাবার থেকে মাংস বাদ দেওয়া হয়েছিল।

লেবানন সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, কাতারের দেওয়া অর্থে সেনাদের বেতন পরিশোধ করা হবে।

এর আগে, গত বছরের জুলাইয়ে লেবানন সেনাবাহিনীকে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ৭০ টন খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ঘোষণা দেয়।

১৯৯০ সালে ১৫ বছরের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে আধিপত্য বিস্তারকারী শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জন্য আর্থিক সংকট চলছে বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ আন্দোলনের আধিপত্য নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের কারণে উপসাগরীয় আরব মিত্ররাও সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।

এদিকে, দেশটি পুনর্গঠনে উপসাগরীয় ধনী আরব দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক দাতাদের সহায়তা চেয়েছে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল লেবাননকে ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তায় চুক্তি করে।

সূত্র: আল-আরাবিয়া