অর্থনীতি

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে মশলার দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এছাড়া, ঈদকে সামনে রেখে প্রায় সব ধরনের মশলার দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৬ থেকে ৪০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৮-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী কিরন মিয়া জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। ঈদ একটা কারণ। তবে, বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার কারণেও দাম বেড়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে দামও কমবে। ঈদের আগে না কমলেও ঈদের পর পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তখন চাহিদা কমবে, তাই দামও কমবে।

হাতিরপুল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আজ তা ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি করছি। দুই দিন ধরে আড়তে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে, ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।’

পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য মশলার দামও বেড়েছে। আজকের বাজারে রসুন ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১২০ টাকা। ১০০-১৩০ টাকার আদা আজ ১৫০-২০০ টাকায়, ৪০০-৪৩০ টাকার জিরা ৪৫০-৫০০ টাকায়, ৪২০-৪৪০ টাকার মরিচ ও হলুদ গুড়া আজ ৪৫০-৫০০ টাকায়, ১২৫০-১৪০০ টাকার এলাচ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্য সবজির দাম কিছুটা কমলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ২৫ টাকায়, আজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।

আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান, আলুর দাম কমার সম্ভাবনা নেই। নতুন আলু বাজারে আসলে তখন দাম কমতে পারে। তার আগে দাম কমবে না, বরং আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

হাতিরপুল মুরগির বাজারে আজ ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।

গত সপ্তাহের মতো সবজি বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। এক কেজি গাজরের দাম মান ভেদে ১২০-১৪০ টাকা। টমেটোর কেজি আগের মতো ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০, বেগুন ৪০-৫০ এবং করলা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নতুন আসা সবজি কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। কাঁচা পেঁপের কেজি ২৫-৩০, পটল- ঢেঁড়স-ঝিঙে-চিচিঙ্গার কেজি ৪০-৫০, কাঁচা কলার হালি ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৫০-৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানেও প্রায় সবগুলো সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪০০ টাকায়। তেলাপিয়া ও পাঙাস ১৬০-১৮০, শিং ৩০০-৪৫০, শোল ৪০০-৬০০, কৈ ২০০-২৫০, পাবদা ৩০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

রোজার সময় প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৭০০ টাকা হয়েছে। তারপর আর দাম কমেনি। আজও বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস ১ হাজার টাকা প্রতি কেজি।