আইন ও অপরাধ

‘হলি আর্টিজানে হামলার পর ঘুরে না দাঁড়ালে পদ্মা সেতু হতো না’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হতো না। ওই হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। বিদেশিরাও সাহস করে প্রজেক্টের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।’

শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে হলি আর্টিজান হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘হলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর আমরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারতাম, তবে আজ যে পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রোরেল দেখছি, কোনো প্রজেক্টই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। কোনো বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করতে আসত না। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হারকাতুল জিহাদের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান হয় ও জেএমবির উত্থান ঘটে। এরপর ইরাকে যখন আইএসআইএসের উৎপাত শুরু হয়, তখন বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দেশের কিছু মানুষ তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে হলি আর্টিজানে হামলা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গি হামলায় তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। হলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকে পুলিশ জঙ্গি দমনে নতুন একটি ইউনিট খোলে। এই ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই ইউএস থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে ইকুটমেন্ট পাওয়ার পর চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের যেসব জায়গায় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে, সে জঙ্গিদের আস্তানা তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি দমনে আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। কারণ, এখনো জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে। জঙ্গিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভিটিসহ সব বিষয়ে আমরা মনিটারিং করছি। তবে, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটসহ বিভিন্ন মেট্রো ও জেলা পুলিশে একটি করে ছোট ইউনিট করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করছে।’