জাতীয়

চাহিদার তুলনায় সক্ষমতার ফারাক, এজন্য ভোগান্তি: রেলমন্ত্রী

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাহিদার তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, চাহিদার তুলনায় রেলওয়ের যে সক্ষমতা এবং এটার যে ফারাক; সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত কমাতে না পারব ততদিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের যাত্রীরা নিস্তার পাবেন না। 

শনিবার (২ জুলাই) কমলাপুর কমলাপুর রেলস্টেশনে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ৫০টি ট্রলিগ্রহণ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতি ঈদের সময় রেল টিকিটের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশে এখন আর কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সিস্টেম নেই। এখন সবকিছু হচ্ছে অনলাইনে। আমরাও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। চেষ্টা করছি, যাতে মানুষ বাসায় বসে তার টিকিট পেতে পারেন। 

তিনি বলেন, রোজার ঈদের আগে ‘সহজ’ অনলাইনের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে। তারা এ ব্যাপারে দিন-রাত কাজ করছে। তারপরও টিকিটের কিছু অব্যবস্থাপনা যে হচ্ছে না, তা নয়। কীভাবে সেসব অব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়- সেসব নিয়েও আমরা কাজ করছি। এগুলো তো অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব না। আমরাও ক্রমে সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা করছি।

ডিজিটাল ব্যবস্থায়ও ডিজিটাল প্রতারণা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে- এমন কথার প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ডিজিটালি যারা প্রতারণা করে তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা যাতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে টিকিট জালিয়াতি না করতে পারে, তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের অনলাইনে টিকিট বিক্রিতে যদি কোনরূপ ত্রুটি বিচ্যুতি হয়- সেটা যেন আমরা সংশোধন করতে পারি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। গত ঈদের মতো এবারও যে ত্রুটিগুলো ধরা পড়বে, সেগুলো যেন আগামী বছর না হয় সেই ব্যবস্থা করব।

যাত্রীদের মালামাল বহনের সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক রেলওয়েকে দেওয়া ৫০টি মালামাল টানার অত্যাধুনিক ট্রলিগ্রহণ করে মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংকের এই উপহার দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, যাত্রীরা এতে নির্বিঘ্নে মালামাল বহন করতে পারবেন। 

এরপর মন্ত্রী কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখেন এবং ট্রেনের আগাম টিকিট নিতে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।