জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন দিপের বাবা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা আরিফ রায়হান দিপ হত্যার বিচার চেয়েছেন তার বাবা। ছেলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আরিফ রায়হান দিপ বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দিপ। মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিপক্ষে সোচ্চার হওয়ায় ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে দিপকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে বুয়েটের আরেক ছাত্র মেজবাহ উদ্দিন। হাসপাতালে ৮৪ দিন কোমায় থাকার পরে একই বছরের ২ জুলাই মারা যান করেন দিপ। এরপর থেকে ২ জুলাই ‘শহীদ আরিফ রায়হান দিপ দিবস’ পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এ উপলক্ষে আজ সকালে বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে স্থাপিত দিপের ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। এ সময় সেখানে দিপের বাবার উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও আজ বিকেলে বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতাদের উদ্যোগে ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল আলোচনায় আরিফ রায়হান দিপের বাবাও অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘বুয়েটে গেলে দিপের ঘ্রাণ পাই এখনো। দিপকে কবর দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমার দিপ জেগে আছে ছাত্রলীগের আরও হাজার সন্তানের বুকে। আক্ষেপ একটাই—সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমি এখনো দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আতাউল মাহমুদ, মনিরুজ্জামান মোহন, কাজী খায়রুল বাশার, হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, রনক আহসান, তন্ময় আহমেদ, রোদসী আলমগীর, এম এ সাইদ, তানভীর মাহমুদুল হাসান, ইমরান খান, ইমরুল কায়েস রাফি, জয় প্রকাশ, আরিফুর রহমান, সফিউল আলম, তরফদার মাহমুদ, মুন্সী আব্দুস সালেক প্রমুখ।

বক্তারা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।