সারা বাংলা

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২২০০ মোটরসাইকেল পার

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের ব্যস্ততম রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। যে কোনো উৎসবে এ নৌরুটে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে এবার ঈদে পাটুরিয়ামুখী যানবাহনের আগের সেই চাপ নেই। এ নৌরুটে যানবাহনের চাপ না থাকলেও মোটরসাইকেল পারাপার বেড়েছে।

বুধবার (৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ নৌরুট দিয়ে ২  হাজার ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে। রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ এ তথ্য জানান।

মোটরসাইকেল আরোহী তুহিন রহমান বলেন, ‘কাল (বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই) থেকে সাতদিন এক জেলার মোটরসাইকেল আরেক জেলায় চালানো নিষেধ। তাই অফিস থেকে আগেই ছুটি নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। এছাড়াও যানবাহনের চেয়ে মোটরসাইকেলে আরামদায়ক চলাচল করা যায়।’

ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বাসের চেয়ে কম খরচে যাওয়া যায়। তাই স্ত্রীকে নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই পার হতে পারছি।’

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে ২৪৭টি বাস, ৪০৯টি ট্রাক, ১০০টি ছোট গাড়ি ও ২ হাজার ২০০ মোটরসাইকেল পার হয়েছে। আর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়া প্রান্তে ৩৫৪টি বাস, ৬৪৩টি ট্রাক, ৮৪৮টি মোটরসাইকেল ও ছোট গাড়ি পার হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরির মধ্যে ১৯টি দিয়ে যানবাহন ও সাধারণ যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। দুটি ফেরি ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে। নৌরুটে যানবাহনের বাড়তি চাপ না থাকায় ভোগান্তি নেই।