খেলাধুলা

বায়ার্ন সতীর্থদের বিদায় জানিয়ে বার্সার ক্যাম্পে যাচ্ছেন লেভানডোফস্কি

অবশেষে বার্সেলোনার করা ৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। দলবদল মৌসুমের শেষ মুহূর্তে তাকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়েছে বার্সা।

তাকে বিক্রি করার বিষয়ে বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান বলেছেন, ‘শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনা আমাদের এমন একটা অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে যেটাতে রাজি না হওয়ার কোনো কারণ দেখিনি আমরা। দলবদলের বাজারে গেল কয়েক বছর ধরে আমরা ভালো করছি। ভালো ভালো এবং বিশ্বমানের কিছু খেলোয়াড়ও দলে নিয়েছি। সাদিও মানেকে নিয়েছি। সে কারণে বার্সেলোনার প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়েছি। তবে এটা এখনো মৌখিক। আনুষ্ঠান চুক্তি প্রক্রিয়াধীন।’

তবে লেভানডোফস্কি যে জার্মানি ছেড়ে যাচ্ছেন সেটা বোঝা গেল স্থানীয় সময় শনিবার সকালে। এদিন তিনি সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে আসেন। কোচ জুলিয়ান নাগেলসমানের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন। এরপর একে একে অনুশীলনে আসা সব সতীর্থের সঙ্গেও কথা বলেন। তার কথা বলার ধরন ও শারীরিক ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছিল তিনি তাদের সবার কাছ থেকে বিদায় চাচ্ছেন।

অনুশীলন থেকে এসে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে বিদায় বলতে আমি আবার আসবো জার্মানিতে। এটার জন্য আজ আমার হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই। আসলে বায়ার্নে আমার ৮টি বছর ছিল বিশেষ কিছু। ভোলার মতো নয়। আশা করি আপনারাও ভুলবেন না সেটা। মিউনিখে আমি দারুণ সময় কাটিয়েছি। আমি মিয়ামিতে যাচ্ছি বার্সেলোনার অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আবার ফিরে আসবো আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার জন্য এবং আরও কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করতে। আজকে আমি কেবল অনুশীলনে যারা উপস্থিত ছিল তাদের বিদায় বলেছি।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুশীলন ক্যাম্প করছে বার্সেলোনা। জানা গেছে মিউনিখ থেকে তিনি মিয়ামির বিমান ধরবেন। সেখানেই হবে তার ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর জার্মানিতে ফিরে এসে চুক্তির বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য কাতালানদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

বার্সেলোনা এবার তাদের আক্রমণভাগ সমৃদ্ধ করেছে। তাদের ঝুলিতে আছেন রাফিনহা, পিয়েরে এমরিক আউবেমেয়াং, আনসু ফাতি, ফেরান তোরেস। তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন সময়ের সেরা স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানডোফস্কি।

যিনি বায়ার্নের হয়ে ৩৭৫ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩৪৪টি। ৮ মৌসুম খেলে তিনি ৮টি বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতেছেন। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগও। এর মধ্যে তিনি দুইবার জিতেছেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড।