সারা বাংলা

পাবনায় কাঁচা মরিচের দামে ডাবল সেঞ্চুরি 

পাবনায় দুই দিনের ব্যবধানে ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে কাঁচামরিচের দাম। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। দুই দিন আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা।

এ দিকে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের পক্ষে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহ কম এবং উৎপাদন নষ্ট হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) চাটমোহর পৌর সদরের থানা বাজার ও নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কোথাও ২০০ টাকা, কোথাও ২১০ টাকা, আবার কোথাও ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও এ উপজেলার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দুই দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। আর মঙ্গলবার সেই কাঁচা মরিচের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বিলচল ইউনিয়নের আব্দুল করিম বলেন, হাট-বাজারে কাঁচা মরিচ যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় মাত্রাতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কাঁচামরিচের বাজারে আগুন লেগেছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি এমনটা হলে গরিব মানুষ কীভাবে চলব? 

নতুন বাজারের কাঁচা সবজির দোকানদার রব্বেল সরদার বলেন, ‘হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের যোগান কমের কারণে দাম বেড়েছে। যোগান বাড়লে দাম কমে যাবে। আমরা যেখান থেকে কাঁচা মরিচ কিনে থাকি, বর্তমানে সেখানেই দাম বেশি। যার জন্য বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদন বাড়লে দাম কমে যাবে।’ 

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা বাজারে কাঁচা মরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।