খেলাধুলা

বাংলাদেশের পুঁজি কি আরও বড় হতে পারত?

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ বলে উইকেট থেকে সরে কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নউয়ুচির ইয়র্কারের উত্তর তার কাছে ছিল না। ব্যাটের আলতো চুমু খেয়ে বল থেমে যায় ক্রিজের ওপর। শেষ বল তাই রান নেওয়া বাধ্যতামূলক! শরিফুল অপরপ্রান্তে গিয়ে বাঁচার জন্য ড্রাইভ দিলেও নউয়ুচি আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।

তাতে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ২৯০ রানে। আউট ৯ ব্যাটসম্যান। হারারেতে প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান তুলেও জিম্বাবুয়ের জয় আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ ১৩ রান কম করলো! আজ কি জিততে পারবে বাংলাদেশ? সিরিজ বাঁচাতে পারবে? উত্তরটা জানা যাবে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।

কিন্তু প্রশ্নটা ভিন্ন জায়গায়। দলীয় পুঁজি কি আরও বড় হতে পারত? উত্তরটা, হ্যাঁ। আরও বড় হতে পারত। দ্বিতীয়বারের মতো জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। সাত সকালের ভেজা উইকেট পেসারদের জন্য সুবিধা থাকবে তা সবারই জানা। শুরুর আক্রমণ সামলে নিতে পারলে পরবর্তীতে খুব সহজেই রান তোলা যাবে। অধিনায়ক তামিম সিরিজ শুরুর আগে এমন কথাই বলেছিলেন।

উইকেট ঠিক সেরকমই ছিল। কিন্তু তামিম শুরুতে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণ রুখে দেন অসাধারণ ব্যাটিংয়ে। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৬২। সেখানে তামিমের একার রানই ৪৪ বলে ৫০। এনামুল ১৬ বলে ১০ রান করে রীতিমত দর্শক। ১ ছক্কা ও ১০ চারে তামিম ৫৫তম ফিফটি তুলে আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যাকগিয়ারে চলা শুরু করে।

সার্কেল সুবিধা কাজে লাগিয়ে তামিম বাউন্ডারির ফোয়ারা ছোটান। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারলেও বাউন্ডারি আসায় দলের রান ক্রমাগত বাড়ছিল। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যান বাউন্ডারিও পেয়েছেন কালেভাদ্রে। স্ট্রাইক রেট রোটেটও করতে পারেনি।

বিশেষ করে ২০-৩০ এবং ৩০-৪০ ওভারে দলের রান থেমে ‘ঠেলাগাড়ির’ গতিতে চলেছে। এ সময়ে রান এসেছে যথাক্রমে ৩৫ ও ৫৫! প্রায় প্রত্যেকেই ধীর গতিতে ব্যাটিং করেছেন। শান্ত ৫৫ বলে ৩৮, মুশফিক ৩১ বলে ২৫ রান করেন। মাহমুদউল্লাহর ৪০ ওভার পর্যন্ত রান করেছেন ৫০ বলে ২৭!

শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান হয়েছে ৮৪, এর কৃতিত্ব মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেনেরই। আফিফ ৪১ বলে ৪১ রান করে ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ দলের রান একাই টানেন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৮৪ বলে করেন ৮০ রান। হাঁকিয়েছেন ৩টি করে চার ও ছক্কা।

শেষ দিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের প্রশংসিত হলেও মাঝের ওভারগুলোতে রান থামিয়ে রাখার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। স্পিনারদের বিপক্ষে গ্যাপ খুঁজতে কষ্ট হয়েছে। পেসারদের বিপক্ষেও ছিলেন না সাবলীল। তাতে রান এসেছে থেমে থেমে।

ডটবল আর বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়েছে পাশাপাশি। ৩০০ বলের ইনিংসে ডট বলই ১৫১টি।

বাংলাদেশের পুঁজি কি আরও বড় হতে পারত? উত্তরটা ডটবলের পরিসংখ্যানেই লুকিয়ে আছে নিশ্চয়ই।