বিনোদন

৩ বছর পর মঞ্চে ‘খনা’

দীর্ঘ ৩ বছর পর প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে নাট্যদল বটতলার প্রযোজনা ‘খনা’। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে নাটকটি। এটি রচনা করেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার।

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলী হায়দার জানান, এ নাটকে খনা এক বিদুষী যার অন্য নাম লীলাবতী। তার গল্পটা অনেক পুরোনো, কিংবদন্তির ঘেরাটোপে বন্দি। তবু যতটুকু তল খুঁজে পাওয়া যায়, তাতে বোধহয় যে তিনি এক বিদুষী জ্যোতিষী, স্বামী মিহিরও একই বৃত্তিধারী। শ্বশুর যশস্বী জ্যোতিষী বরাহ মিহির। পুত্রজায়ার যশ, খ্যাতি ও বিদ্যার প্রভাব দর্শনে বরাহের হীনমন্যতা ও ঈর্ষা। শ্বশুরের নির্দেশে লীলাবতীর জিহ্বা কর্তন ও তার ‘খনা’ হয়ে ওঠার গল্প পেরিয়েছে প্রজন্মের সীমানা।

খনার বচনের মাঝে টিকে থাকা শত বছর আগের জল, মাটি, ফসল আর মানুষের গন্ধ মাখা জ্ঞান আর সত্যটুকু কি সত্যি লীলাবতীর? নাকি এ সত্য-তথ্য সবই এ ভূ-খণ্ডের বৃষ্টি, পলি, আর জল হাওয়ার সঙ্গে মিশে থাকা যুগান্তরের সামষ্ঠিক জ্ঞানের সংকলন? লীলাবতী শুধুই কি একজন নারী বলে তার পরিণতি নির্মম, নাকি তিনি নারী হয়ে মিশেছিলেন চাষাভুষোর সনে; সেই তার কাল? পুরুষতন্ত্র না শ্রেণি কাঠামো; নাকি উভয় দাঁড়ায় লীলাবতীর বিপ্রতীপে? মিহির বা প্রাকৃত লোকালয় কারোর পরোয়া না করা জীবন ত্যাগী নেশার ঘোর তাকে নিয়ে যায় দিগন্তের ওপার। খনার সত্য শুধু থেকে যায় কৃষকের মুখে। তবু প্রশ্ন থাকে, খনার সত্যই কি একক সত্য? নাকি আজকে নির্ভুল যা কাল তা হতে পারে অসত্য? শুধু সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর যে মৃত্যুনেশা তার সে নেশা কি এক রোখা জেদ? খনা নিজেই নিজেকে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন করেন।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন—মো. আলী হায়দার, চন্দন পাল, ইভান রিয়াজ, শারমিন ইতি, তৌফিক হাসান, শেউতি শাহগুফতা, মিজানুর রহমান, হামিদুল হিল্লোল, পঙ্কজ মজুমদার, বাকিরুল ইসলাম, হুমায়ুন আজম রেওয়াজ, মুহাম্মদ সাইদ, সুমিত তেওয়ারী, হাফিজা আক্তার ঝুমা ও কাজী রোকসানা রুমা।

নাটকটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আবু আউদ আশরাফী, সুর ও সংগীত: ব্রাত্য আমিন, শারমিন ইতি ও জিয়াউল আবেদীন রাখাল। পোশাক পরিকল্পনা: তাহমিনা সুলতানা মৌ ও তৌফিক হাসান ভূঁইয়া। কোরিওগ্রাফি: মোহাম্মদ রাফি ও নাসির উদ্দিন নাদিম। প্রপস: হুমায়রা আখতার, পোস্টার: তৌহিন হাসান।