সারা বাংলা

খুলনায় দাম বেড়েছে পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার 

খুলনায় সব ধরণের পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বাজারে ডিম এবং মুরগির দামও উর্দ্ধমুখী। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন সাধারণ খামারিরা। 

এদিকে বাজারে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ ক্রেতাদের। ফলে পোলট্রি বাজার হয়ে উঠেছে বেশামাল, বিরাজ করছে নৈরাজ্য।

খামারিরা জানান, ব্রয়লার মুরগির খাবারের দাম ৪৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। কক মুরগিরর খাবারের দাম ৩০০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৫০ টাকা, লেয়ার মুরগিরর খাবারের দাম ২৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৭৫০ টাকা হয়েছে।

অন্যদিকে, একদিন বয়সের ব্রয়লারের বাচ্চার দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮-৩২ টাকা, কক মুরগির বাচ্চার দাম ১৫-১৬ টাকা থেকে বেড়ে ১৯-২০ টাকা, লেয়ার মুরগির বাচ্চা ২২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা।

পোলট্রি সামগ্রীর দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধির হতাশা প্রকাশ করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কস্টকর হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন, খুলনা পোলট্রি ফিড দোকান মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মো. নূরুল ইসলাম। 

নূরুল ইসলাম বলেন, ‘খাবারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পোলট্রি খামারি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা বাজার দরের সাথে সমন্বয় করে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ খামারিরা পথে বসার উপক্রম হবে।’ 

সিনা পোলট্রির মালিক দুলাল হোসেন বলেন, ‘মুরগির প্রতিটি খাবারের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। পোলট্রি ওষুধের দামও বাড়তি। সব মিলিয়ে এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন কষ্টকর হয়ে পড়ছে। ব্যবসা চালু রাখতে এখন এ ব্যবসায় জড়িত প্রত্যেককে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ 

এদিকে খুলনা নগরীতে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির বাজার বেশ চড়া। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুরগির দাম। 

নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। খুলনা নগরীর পাইকারি আড়তে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে। আর এক মাস আগে এই মুরগির কেজি ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।  সোনালী ও লাল কক মুরগি প্রতি পিছে ২০-৩০ টাকা দাম বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে। 

মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় খামারিরা খামারে মুরগি না উঠানোর কারণে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। 

খামারিরা বলছেন, বড় কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়ানোর কারণে সেডে মুরগি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না।