ক্যাম্পাস

মাঙ্কিপক্স: সচেতনতার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

বিশ্বজুড়ে ভয় ছড়ানো মাঙ্কিপক্স বিষয়ে দেশে এখনই সচেতনতা ছড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ আয়োজিত ‘মাঙ্কিপক্স আউটব্রেক অ্যান্ড বাংলাদেশ ডিলেমা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা।

এতে বিভাগের প্রধান ডা. এস এম মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সূচনা বক্তব্য রাখেন জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুদ্দিন।

উপাচার্য ড. মো. শামছুদ্দিন বলেন, এই ভাইরাসটি আগের চিকেন পক্সের মতো প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। বর্তমানে এটি যেভাবে ছড়াচ্ছে তা আসলে জনস্বাস্থ্যের জন্যেই একটি হুমকি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র পরামর্শক ও বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. মুজাহেরুল হক বলেন, নতুন এই ভাইরাসের বিষয়ে জনসচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। ফলে এটি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

সভায় মাঙ্কিপক্সের ডিজিজ সার্ভিলেন্স ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন সিমেড (সিএমইডি) ও এইমস (এআইএমএস) ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন।

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ ও বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে বক্তব্য রাখেন জিইউবির পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষক বিল্লাল হোসাইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. শাহজাহান।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের ডিন, শিক্ষক ও জনস্বাস্থ্য কর্মী, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, আন্তর্জাতিক পাবলিক হেলথের শিক্ষার্থী ও জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৩ জুলাই বৈশ্বিক ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের ভাইরাস। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রধান দুটি ধরন হচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকান ও মধ্য আফ্রিকান ধরন। এটি স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে, জ্বর, মাথা ব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। জ্বর কমলে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায় ফুসকুড়ি ছড়ায়। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের ত্বকে বসন্তের মতো দাগ দেখা দেয়।