টি-টোয়েন্টিতে বাহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে অটো চয়েজ ভাবার সময় শেষ হয়েছে বলে মনে করেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বুধবার (৩১ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মুস্তাফিজ কি এখনও দেশসেরা পেসার? তাকে যে অটো চয়েজ ধরা হয়, সেই প্রথা কি ভাঙার সময় এসেছে? এমন প্রশ্নের প্রশংসা করে সুজনের মন্তব্য ‘হয়তোবা।’
টিম ডিরেক্টর বলেন, ‘আমরাও এটা নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন। আমরাও যে জানি না তা না। প্রশ্নটা একদম নতুন না আমাদের কাছে। আমরা যে এটা নিয়ে ভাবছি না তা না’
তবে সুজন এখনো আস্থা হারাননি মোস্তাফিজের উপর, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি, সে এখনও সেরাদের একজন। ওর যে বৈচিত্র্য আছে বোলিংয়ে, সেটা হয়তো আমাদের অনেক পেসারের নেই। হয়তো ওই বৈচিত্র্য কাজে লাগছে না বা ও বাস্তবায়ন করতে পারছে না। কিছু একটা হচ্ছে।’
মোস্তাফিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। উইন্ডিজে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে রান দিয়েছেন যথাক্রমে ওভার প্রতি ৯.২৫ ও ১৩.৫০ করে। দ্বিতীয় ম্যাচে কোটা পূর্ণ করলেও তৃতীয় ম্যাচে তাকে বোলিং দেওয়ার সাহস পাননি অধিনায়ক। উইকেট পাননি একটিও। এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচে যথাক্রমে রান দিয়েছেন ওভার প্রতি, ১২.৫০, ৭.৫০ ও ৫.৫০ করে। উইকেট নিয়েছেন ৪টি। এশিয়া কাপের আগে এই দুটি সিরিজই হেরেছে বাংলাদেশ।
আর গতকাল এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ যখন হাতের মুঠোয় তখন ১৭ রান দিয়ে মোমেন্টাম বদলে দেন। ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
অথচ মোস্তাফিজ সাদা বলে টানা বেশ কয়েকবছর অটো চয়েজ। আইপিএলে খেলার সুবাদে অভিজ্ঞতায়ও বেশ এগিয়ে তিনি। কিন্তু ডেথ ওভারে এখন তার খরুচে বোলিংয়ে ভুগছে বাংলাদেশ।
খরুচে বোলিং নিয়ে সুজন বলেন, ‘এটা খুব উদ্বেগজনক যে, গত ১৫-১৬ ম্যাচে মুস্তাফিজ সেভাবে উইকেট পাচ্ছে না, ইকোনমি রেটও ভালো না। তবে অটো চয়েজ বলে কিছু নেই। তারপরও এই ফরম্যাটে আমরা সব সময় ওকে এগিয়ে রাখি, ওর অভিজ্ঞতা, আইপিএলে খেলে, সব কিছূ মিলিয়ে এই সংস্করণে আমাদের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে মুস্তাফিজই। ওই হিসেবে মুস্তাফিজকে এগিয়ে রাখা হয়।’
মোস্তাফিজের সময় ভালো যাচ্ছে না। তবে সুজন বিশ্বাস করেন ফিজ এখান থেকে বেরিয়ে আসবে, ‘মুস্তাফিজ ভালো করেনি তা না, তবে গত ২ বছর সে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছে না, এটা আমাদের সবার জন্য উদ্বেগের ব্যাপার। তবে আমি বিশ্বাস করি, ফর্ম ইজ টেম্পরারি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। আমি এখনও বিশ্বাস করি, মুস্তাফিজ এখান থেকে বের হয়ে আসবে, দলকে আবার ম্যাচ জেতাবে। এই বিশ্বাসটা আমাদের সবারই আছে।’