আন্তর্জাতিক

‘উইঘুরদের বিরুদ্ধে সম্ভবত মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে চীন’

শিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী মানুষদের চীনের ‘স্বেচ্ছাচারী ও বৈষম্যমূলক আটক’ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে। জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার প্রধান বুধবার একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

চীনের প্রতি খুব নরম হওয়ার জন্য কিছু কূটনীতিক এবং অধিকার গোষ্ঠীর সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি মে মাসে চীন সফর করেছিলেন। শিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের চীনের নিপীড়নের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল গত মাসে তা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যাচেলেন। অবশ্য বুধবার তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে তিনি  প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন। 

চীন অবশ্য  শিনজিয়াংয়ে নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জাতিসংঘের ৪৮ পৃষ্ঠার জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিপক্ষে তারা ১৩১ পৃষ্ঠা লেখা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘শিনজিয়াংয়ে’ চীন সরকারের সন্ত্রাস দমন এবং ‘উগ্রবাদবিরোধী’ কৌশল প্রয়োগের প্রেক্ষাপটে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘উইঘুর ও অন্যান্য প্রধান মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের নির্বিচারে এবং বৈষম্যমূলক আটকের সংখ্যা ... আন্তর্জাতিক অপরাধ হতে পারে, বিশেষ করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।’

বন্দিরা সহিংসতার শিকার উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শিনজিয়াংয়ের বন্দিরা বাজে আচরণের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, এর মধ্যে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও’ আছে।

উইঘুরদের সংখ্যা হ্রাসে চীন সরকার জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে বাধ্য করছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘২০১৭ সাল থেকে পরিবার পরিকল্পনা নীতির জোরপূর্বক প্রয়োগের মাধ্যমে প্রজনন অধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য ইঙ্গিত রয়েছে।’