মাতৃত্ব ও শক্তির প্রতীক দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে শুরু হল শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে সারাদেশের মণ্ডপে-মণ্ডপে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান জানালেন ভক্তরা। এবার সিলেট মহানগর ও জেলার ৬১১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
মূলত ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি বেজে উঠলো।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট মহানগরীর পাশাপাশি মফস্বল এলাকার পূজা কমিটি গুলো নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টায় কাজ করছেন দিনরাত। এছাড়া শারদীয় উৎসব উপলক্ষে নগরীর বিপণীবিতানগুলোতে সকাল শুরু করে রাত পর্যন্ত মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বী ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নতুন পোশাক কেনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে এ মার্কেট—ওমার্কেট ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে তাদের। বলতে গেলে সর্বত্রই এক সাজ সাজ রব পড়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট সূত্র জানিয়েছে, সিলেট মহানগর ও জেলায় ৬১১টি মণ্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্বজনীন ৫৬১টি, পারিবারিক ৫০টি পূজো রয়েছে। মহানগরীতে ১৫৪টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৫টি ও পারিবারিক ১৯টি। এছাড়া জেলার ৪৫৭টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ৪২৬টি ও পারিবারিক ৩১টি।
দুর্গোৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা বলেন, সিলেট বিভাগে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার পূজোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, জেনারেটর রাখা ও পরিদর্শন বই রাখার জন্য সব কমিটিকে অনুরোধ করেছি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, পূজা নির্বিগ্ন করতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে দুর্গোপূজায়। যে কোনো প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহবান জানান তিনি।