জাতীয়

১০২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

১০২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৯তম সভায় অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২টি, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ১টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে কমিটি ৬টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে।  অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ২১৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ৬৪৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৯ টাকা।

সভায় ‘ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট’–প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-এএফএস-০২ এর আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে  দোহাটেক মিডিয়া বাংলাদেশ এবং জিএসএস ইনফোটেক,ইন্ডিয়া। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে ৫১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ২৯ টাকা।

সভায় ‘ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে (গৃহায়ন কনকচাঁপা) কম্পাউন্ড-এ ৩টি ১৪ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার লিমিটডকে সুপারিশ করে। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৭ টাকা।

সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৬৯২.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৭ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

সভায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৭০৩.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা।

এছাড়াও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে ৯ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৭০৩.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে সর্বমোট ২ কোটি ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা ব্যয় হবে।

সভায় ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল)-এর জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স আর. কে. এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী: মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই) এই ফসফিক এসিড সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক এসিডের দাম ৮২০ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ টাকা।