শিক্ষা

সেশনজটেই বয়স পার, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি 

দেশে সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ করে বের হতে ২৬/২৭ বছর লেগে যায়। এর অন্যতম কারণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে সেশনজট। মাঝে সেশনজট কিছুটা কমলেও করোনাকালে তা ফের বেড়েছে। ফলে যাদের চাকরির বয়সসীমা শেষের দিকে ছিল, তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০, আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। 

শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে সমাবেশ করে চাকরিপ্রার্থীরা। এতে অংশগ্রহণকারী রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাইজিংবিডিকে বলেন, চাকরির বয়সসীমা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ৩৫ করা হোক। কারণ, সেশনজট ডিঙিয়ে পড়াশোনা শেষ করতেই ২৭-২৮ বছর হয়ে যায়। আর চাকরির প্রস্তুতি নিতেই ৩০ বছরের কাছাকাছি হয় বয়স।

আরেক শিক্ষার্থী আকবর বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেখানে চাকরিভেদে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৪ থেকে ৪০ বছর। প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায় তা আরও পাঁচ বছর বেশি।

তিনি বলেন, আমার যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকাই, তারা আরও উদার। এদেশে যে বয়স হলে সরকারি কর্মচারীদের ছাতা, লাঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়; যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় সে বয়সেও চাইলে চাকরিতে প্রবেশ সম্ভব। এ ছাড়া ইতালি ও নরওয়েতে এ বয়স ৩৫। ফ্রান্সে ৪০, সুইডেনে ৪৭ বছর। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশগুলো ৫৫ বছর পর্যন্ত তার নাগরিকদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়।

ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব হাসান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রসঙ্গ আসছে প্রধানত সেশনজটের কারণে। একজন শিক্ষার্থী যদি ২৩-২৪ বছরের মধ্যে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারতেন, তাহলে ৩০ ঠিক ছিল। কিন্তু শিক্ষাজীবন শেষ করতে আরও দুই–তিন বছর বেশি লাগছে। সম্ভবত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশি ত্যাগ স্বীকার করছেন। তাদের মধ্যে গত বছর ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যন্ত্রণাটা আরেকটু তীব্র। তারা গড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কলেজের তুলনায় ছয় মাস থেকে এক বছর পিছিয়ে পড়ছেন।