খেলাধুলা

স্মৃতির নান্দনিকতা শেফালির ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির আফসোস ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে। শুধু ব্যাটার নয় বোলাররাও এলোমেলো ছিল বলে আক্ষেপ করেন জ্যোতি। তার ভাষায় ভারতের বিপক্ষে অ্যাপ্রোচটা ঠিকঠাক ছিল না।

আসলে তাই। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ। টস জিতে সিলেটে আগে ব্যাটিং করে ভারত ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয়। রান তাড়ায় ১০০ রানে থামে বাংলাদেশের মেয়েরা।

এই হারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। শ্রীলঙ্কা-আমিরাতের বিপক্ষে জয় ছাড়া তাকিয়ে থাকতে হবে থাইল্যান্ডের দিকেও।

এত বড় ব্যবধানে হার বলে দেয় তারা কতটা ছন্নাছাড়া ছিল। যেমন বোলিং, তেমন ব্যাটিং। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল, হলো ঠিক তার উলটোটা। পাওয়ার প্লে থেকে আসে মাত্র ৩০ রান। রানের চাপে পড়ে যায় ব্যাটাররা, ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

দুই ওপেনারই ক্রিজে সেট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ততক্ষণে ওভার অর্ধেক শেষ। ফারজানা ৪০ বলে ৩০ ও মুর্শিদা ২৫ বলে ২১ রান করেন। জ্যোতি এসে চেষ্টা করেও আর পেরে ওঠেননি। ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন জ্যোতি। এ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পার হতে পারেননি। শেষ দিকে ৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করে থামে লাল সবুজের দল।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা ও শেফালি বর্মা। ১টি করে উইকেট নেন রেনুকা সিং ও স্নেহ রানা।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। স্মৃতি মান্ধানার নান্দনিক ব্যাটিং আর শেফালি বর্মার ঝড়ে গড়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ওপেনিং জুটিতেই যা রান তোলার তুলে ফেলে ভারত। স্মৃতি-শেফালির জুটি থেকে রান আসে ৯৬টি। তার মধ্যে পাওয়ার প্লেতে তোলে ৫৯ রান। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন শেফালি। ৪৭ রান আসে স্মৃতির ব্যাট থেকে।

এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন জেমিইমাহ। তিনি ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তারা ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রুমানা। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা তৃষ্ণা ২ ওভারে দেন ২৫ রান। এরপর তাকে আর বোলিং দেননি অধিনায়ক।

অথচ গত এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ছিল বাংলাদেশ। হারিয়েছিল গ্রুপপর্বেও। চার বছর পর ভারত যখন সবদিক দিকেই আরও উন্নত হলো বাংলাদেশ যেন আরও পিছিয়েছে। এমন প্রশ্ন করতেই জ্যোতি বলেছেন, এ কয়দিন ভারত কতগুলো টি-টোয়েন্টি খেলেছে তা দেখতে!