কৃষি

আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

অধিক লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের আলুচাষিরা। ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছে উপজেলা কৃষি দপ্তর।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার হাবিবপুর এলাকার বিভিন্ন সবজি চাষের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিঘাপ্রতি ৬ পাওয়ার টিলার গোবর, ২০ কেজি পটাস ও ১ বস্তা ফসফেট সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করেছেন কৃষকেরা। জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপন করছেন। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৪ মণ বীজ আলুর প্রয়োজন হয়, এসব বীজ আলু ৮০০ টাকা মণ হিসেবে ক্রয় করছেন কৃষকেরা। খরচ হয় এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ মণ আলুর ফলন হয়। লাগানোর ২ মাসের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলেন কৃষক। আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আলু চাষের মৌসুম হলেও বেশি দাম পাবার আশায় আশ্বিন মাসেই আগাম আলু চাষ করছেন কৃষকেরা।

আলুচাষি লুৎফর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, আলু মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। আমন ধান কাটা-মাড়াই করে চাষ শুরু করবো। কিন্তু প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করি। আগাম চাষের আলুর দাম অনেক বেশি পাই। আগামী অগ্রহায়ণ মাসেই আলু বাজারজাত করতে পারবো।

মজিবর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, কয়েক বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। তবে দাম বেশি পাবার আশায় আগাম আলুর চাষ করছি। প্রতি বছর নতুন আলু ১০০ টাকার উপরে দাম পাই। আশা করছি এবারও ভালো দাম পাবো।

বিরামপুর কৃষি অফিসার নিক্সোন চন্দ্র পাল রাইজিংবিডিকে বলেন, চলতি আলু মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।  উপজেলার অনেক জায়গায় কৃষকেরা ভাল দাম পাবার আশায় আগাম আলুর চাষ শুরু করেছেন। আমরা চাষিদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।