অন্য দুনিয়া

যে শাড়ি পরা যায়, খাওয়াও যায় 

জামদানী, তাঁত, মসলিন, বেনারসি কিংবা অন্যান্য শাড়ির কথা কে না শুনেছেন। ঢাকার বিখ্যাত মসলিন যে ম্যাচের বক্সে ভরে রাখা যেত সে কথাও হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু এমন শাড়ির কথা শুনেছেন কি যে শাড়ি পড়াও যায়, আবার ইচ্ছে হলে খেয়ে ফেলাও যায়। শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। এমন শাড়ির দেখা মিলবে ভারতে।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের আনা এলিজাবেথ জর্জ বানিয়েছেন এমন শাড়ি। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণী  ফ্যাশন ডিজাইনার। সম্প্রতি তিনি কাজ করছেন ক্যানসার গবেষণা নিয়ে। ছোটবেলায় আনা এক শিল্পীকে রুমাল বানাতে দেখেছিলেন যেটি খাওয়া সম্ভব। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ ধরনের শাড়ি তৈরি করেন তিনি।

এই শাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টার্চ। শাড়ির নাম ‘কাসাভু’। চকলেট কিংবা আইসক্রিমে যে ওয়েফার ব্যবহার হয় সেই ওয়েফারও রয়েছে শাড়িতে। মূলত ওয়েফার কাগজে তৈরি হয়েছে এই শাড়ি। এর দৈর্ঘ্য সাড়ে পাঁচ মিটার। কেকের উপর যেভাবে ডিজাইন করা হয় এই শাড়ির উপর রয়েছে সেরকম ডিজাইন। ওজন প্রায় দুই কেজি। বানাতে খরচ হয়ে ৩৫ হাজার রুপি। 

কেরালায় ‘কাসাভু’ ডিজাইনের শাড়ি নতুন নয়। বলা যায় এই নকশা সেখানে জনপ্রিয়। ফলে আনাও একই নকশা শাড়ি তৈরিতে বেছে নেন। তিনি শাড়ির মূল্য রেখেছেন ১০ হাজার টাকা। তবে এর দাম গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বাড়বে। মানে, কেউ যদি বেশি ডিজাইন চান, তাকে বেশি টাকা দিতে হবে।