দেহঘড়ি

মাথা ঘোরা হৃদরোগের লক্ষণ নয় তো?

হৃদপিণ্ডের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া। সুতরাং এ নিয়ে হেলাফেলার কোনো সুযোগ নেই। ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ কতোটা ভালো কাজ করল সেদিকটার পাশাপাশি হৃদপিণ্ড কতটা সুস্থ রয়েছে সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। 

সময়ে না খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা, অবসাদ, ক্লান্তি ইত্যাদি নানা কারণে হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। হৃদরোগের মতো গুরুতর সমস্যার কিছু বিশেষ লক্ষণ রয়েছে, যা দেখা দিলে দেরী না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

* মাথা ঘোরানো: অনেক সময় না খেলে, ঠিকমতো বিশ্রাম না নিলে মাথা ঘোরাতে পারে। তবে যদি এই সমস্যা বেশ কিছুদিন স্থায়ী হয় এবং এর সঙ্গে শ্বাস নিয়ে সমস্যা ও বুকে অস্বস্তি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* বুকে অস্বস্তি: হৃদরোগের প্রাথমিক ধাপের একটি হলো বুকের ভেতরে অস্বস্তি। বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করতে পারেন। ধমনীতে কোনোভাবে রক্ত চলাচল আটকে গেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যার আগাম সংকেত দেয় বুকে ব্যথা।

* বাঁ হাতে ব্যথা: অনেক সময়ে বুক থেকে ব্যথা বাঁ হাতে চলে যায়। হার্টের সমস্যায় এটিও ইঙ্গিতবাহী।

* অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: যদি লক্ষ্য করেন হৃদস্পন্দনের গতির হেরফের হচ্ছে, সামান্য কাজ করতে গিয়েও হাঁফিয়ে উঠছেন, তাহলে সাবধান। সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে একবার পরীক্ষা করে নিন।

* অত্যধিক নাক ডাকা: অনেকেই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। তবে যদি দেখেন আপনার আপনজন কেউ ঘুমের মধ্যে নিয়মিত অত্যধিক পরিমাণে নাক ডাকছেন, তাহলে সতর্ক হোন। কেননা এর মানে হলো, ঘুমের সময় ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে না। যে কারণে হার্টকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে।

* গলা ও চোয়াল ব্যথা: গলা বা চোয়াল ব্যথার অন্য কারণ হতেই পারে। তবে বুক থেকে ব্যথা গিয়ে চোয়াল বা গলায় আটকালে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* অতিরিক্ত ঘাম: পরিশ্রম করছেন না, কিন্তু তাও হঠাৎ হঠাৎ খুব ঘামছেন। এটাও অন্যতম লক্ষণ।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া