বিনোদন

রাজ-মিম জুটি: গড়ার আগেই ভাঙনের সুর

গত ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় ‘পরাণ’। এই সিনেমায় জুটি বাঁধেন শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম। মুক্তির পর সিনেমাটি ব্যবসা সফল হয়। রাজ-মিম জুটি দর্শক প্রশংসিত হয়। এরপর ‘দামাল’ সিনেমায় দুজনকে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ নির্মাতারা এই জুটিকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু দুজনের জুটি ঠিকমতো গড়ে ওঠার আগেই দেখা দিয়েছে ভাঙনের সুর!

নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল তার নতুন সিনেমা ‘পথে হলো দেখা’য় বিদ্যা সিনহা মিমকে নেন। এই সিনেমাতে মিমের বিপরীতে তিনি শরিফুল রাজের কথা ভেবেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ভাবনা বাস্তবে রূপ পাবে কিনা এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সংশয়ের অন্যতম কারণ সম্প্রতি শরিফুল রাজের স্ত্রী পরীমনির বিদ্যা সিনহা মিমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ। পাল্টাপাল্টি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারা পরস্পরের প্রতি অভিযোগ তুলেছেন। যদিও মিম তার স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ করেননি। এরপরই মূলত শরিফুল রাজকে নিয়ে মিমের সঙ্গে পরীমনির সম্পর্কের টানাপোড়েনের শুরু। 

যদিও পরীমনি তার দেয়া এক স্ট্যাটাসে উল্লেখ্য করেন আবু রায়হান জুয়েলকে তার নতুন সিনেমায় রাজের সঙ্গে মিমকে নেয়ার পরামর্শ তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কি পরীমনি এই জুটিকে মেনে নেবেন? এ ছাড়া ঘরের সুখ নষ্ট করে রাজও কি মিমের সঙ্গে নতুন সিনেমায় অভিনয়ে আগ্রহী হবেন? 

এমন অনেক প্রশ্ন আলোচিত হচ্ছে। এই উত্তর নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মিমকে আমরা সাইন করিয়েছি। গল্প অনুয়ায়ী এতে মিম-রাজ হলে ভালো হয়। তবে এটা সত্য পরী রাজের সামনেই আমাকে বলেছেন- মিম ও রাজকে নিতে। দুজনকে ভালো মানাবে বলেও সেসময় পরী বলেছিলেন। রাজকে স্ক্রিপ্ট দেখার জন্য দেয়া হয়েছে। এখনও ফাইনাল কিছু জানাননি তিনি।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ কাজটি করবেন কি না? জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, ‘এসব বিষয়ের জন্য সিনেমায় কাজ করবেন না বা জুটি বাঁধবেন না- এটা ঠিক নয়। তবে এটাও ঠিক রাজের কাছ থেকে খুব পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি না। হয়তো স্ক্রিপ্ট পড়ে তিনি ফাইনালি জানাবেন। সময় নিচ্ছেন। আমরা তার অপেক্ষায় রয়েছি।’

সম্প্রতি দেয়া পরীমনি তার স্ট্যাটাসে মিমের উদ্দেশ্যে লিখেছেন: ‘এই তো সেদিন ইনফিনিটি সিজন-২ এর জন্য তোমাকে (মিমকে) নক দিলাম আমি। কি করে ভুলে গেলি রে ভাই!’

এই ইনফিনিটি সিজন-২ এ রাজের বিপরীতে টয়াকে নিয়ে কাজ শেষ করেন নির্মাতা। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন- এই ঘটনার পর রাজ-মিম জুটিকে আর দেখা নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চলচ্চিত্রেরই ক্ষতি। এখন সব কিছুই নির্ভর করছে তাদের সিদ্ধান্তের ওপর।