সারা বাংলা

বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা 

কুমিল্লার বিএনপি’র গনসমাবেশের বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। আর এই সমাবেশ উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে সমাবেশ স্থল নগরীর টাউন হল মাঠ পর্যন্ত দলটির নেতাকর্মীদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। 

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান আর ভবনের দেওয়ালে লাগানো হচ্ছে পোস্টার। এসব পোস্টারে দলটির কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশের দিন এগিয়ে আসায় শেষ মুহূর্তের লিফলেট ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে টাউন হল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে ব্যানার ও পোস্টার লাগানোর কাজ। বিএনপি’র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে পোস্টার লাগাচ্ছে দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে চলছে মাঠের মঞ্চ বানানোর কাজ। আর এসব কাজ পরিদর্শনে সকালে  টাউন হল মাঠে আসেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুর্ণবাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন।

এদিকে কুসিকের সাবেক মেয়র মনিরুল সাক্কু নেতাকর্মীদের থাকার জন্য ৭৮টি ফ্ল্যাট ব্যবস্থা করছেন। মনিরুল হক সাক্কু অনুসারীরা নগরী টাউন মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চের পাশে অবস্থান নিয়েছেন।

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা নগরীর বিভিন্ন স্থান এবং সমাবেশস্থলে ব্যানার টাঙিয়েছি। আমরা এ সমাবেশ সফল করতে ছাত্রদল দিনরাত মাঠে কাজ করছি।’

কুমিল্লায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শিশির বলেন, ‘আমাদের কুমিল্লা বিভাগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চান। আসলে এই সমাবেশ দলের নেতা-কর্মীদের জন্য একটি উদযাপনের উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। আশা করি কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ কুমিল্লার রাজনৈতিক  ইতিহাসে স্মরণীয় ও বৃহত্তম সমাবেশে রূপ নেবে।’

কুমিলায় দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাজী আনারুল হক বলেন, ‘কুমিল্লা মানে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্রে করে নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উৎসব দেখা দিয়েছে। এই সমাবেশ হবে আগের সব সমাবেশ থেকে বৃহত্তম। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই আমাদের নেতাকর্মীরা টাউন হল মাঠে অবস্থান নিতে শুরু করবেন।’

কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা ফয়সাল নামের একজন বলেন, ‘আমরা শহরের রাজপথে বিএনপির ব্যানার-পোস্টার দেখছি। আমাদের কাছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আশাকরি আগামী দিনগুলো দেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্য শান্তিপূর্ণ হবে।’

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব  ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ‘হঠাৎ করে মিছিল, সমাবেশ ও হামলার ঘটনা বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বাঁধাগ্রস্ত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি চক্রান্ত। আওয়ামী লীগ কোনোভাবে আমাদের আটকাতে না পেরে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ২৬ নভেম্বরের গণসমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।’ 

কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী ইয়াছিন বলেন, ‘আমরা সমাবেশের অনুমতি পেয়েছি। তবে রাতের অন্ধকারে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে কে বা কারা হুমকি দিচ্ছেন।’ 

এদিকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপি তাদের সমাবেশ করবে, আমরা তাতে বাঁধা দেবো না। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে আমার তাদের প্রতিরোধ করবো।’