পজিটিভ বাংলাদেশ

লাউ দিয়ে লাখপতি শামসুল

সারাবছর অন্যের জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করেন শামসুল হক। চলতি বছর শীতের আগে লাউ চাষের পরিকল্পনা করেন তিনি। তার সেই পরিকল্পনা সফল হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই লাউ বিক্রি করে আয় করেছেন দেড় লাখ টাকা। মৌসুম শেষে তিন লাখ টাকার লাউ বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। পাঁচ সদস্যের পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম। চাষের কাজে স্ত্রী শামসুন্নাহার তাকে সাহায্য করেন।

শামসুল হক বলেন, ৩০ বছর আগে একবার লাউ চাষ করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা এবার কাজে লেগেছে। করোনা, মেয়ের বিয়ে, ছেলের লেখাপড়ার খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে গত দুই বছর কষ্টে কাটিয়েছি। শাকসবজির আবাদ করতে পারিনি। এবার লাউ চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। 

প্রতিবেশী চাষী শহীদুল্লাহ বলেন, গেল দু’বছর করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শামসুল হক। তার উৎপাদন খরচও ওঠেনি তখন। এবার বেশ ভাল ফলন হয়েছে। 

প্রতিবেশী জসীম উদ্দিন বলেন, সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন এলাকার টেংরা, তেলিহাটি, টেপিরবাড়ী (ছাতির বাজার) এবং আনসার টেপিরবাড়ী হাটে শামসুল হক নিয়মিত লাউ বিক্রি করেন। প্রতিটি লাউ বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৬০ টাকা। লাভ দেখে  আশপাশের চাষীরাও তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।

স্ত্রী শামসুন্নাহার বলেন, উৎপাদন খরচের চেয়ে কাজের লোকের মজুরি বেশি। কাজের লোক নিতে গেলে অনেক টাকা লাগে। তাই কাজের লোক না নিয়ে নিজেরাই জমিতে কাজ করে টাকা বাচাই। সেই টাকায় ছেলের লেখাপড়ারর খরচ চালাই। 

স্থানীয় তেলিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আইনুল হক বলেন, শামসুল হক একজন সফল চাষী। বিভিন্ন মৌসুমি ফলের চাষ করে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। লাউ চাষে তিনি সবচেয়ে বেশি সফল। তার লাউ চাষ দেখে একই এলাকার আব্দুল বাতেন, নূরুল হক, ফজলুল হকসহ অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।