মিডিয়া

‘অনলাইন সংবাদমাধ্যম মূলধারায় জায়গা করে নিয়েছে’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, কয়েক বছর আগেও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এবং তাদের (অনলাইন সংবাদমাধ্যম) মূলধারার সংবাদমাধ্যম হিসেবে ধরা হবে কিনা- এসব নিয়ে বিতর্ক ছিলো। কিন্তু অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো নিজেদের যোগ্যতায় মূলধারার গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিনিয়ত অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতি নির্ভরশীলতা তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বিয়ষটিকে এভাবে বলতে পারি-অনলাইন গণমাধ্যম মূলধারার গণমাধ্যম কিনা তা সময়ই বলে দেবে। কেননা বৃক্ষের নাম কি তার ফলে পরিচয়। এখন আমরা বলতে পারি প্রতিনিয়তই অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতি নির্ভরশীলতা তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিউটে আয়োজিত শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় ‘কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে শিশু অধিকার বিষয়ক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের গুরুত্ব কমিউনিকেশন প্রোগ্রামিং’ এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিউট ও ইউনিসেফ এর যৌথ উদোগ্যে তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালা হয়।

সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানিয়ে মো. ফারুক আহমেদ বলেন, আপনাদের তথ্যই সবার কাছে পৌঁছায়। তাই আপনারা আপনাদের নির্ভরযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছে যাবেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের দেশ ও জাতির প্রতি অনেক দায় রয়েছে। তাই উপস্থিত সব অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, কর্মশালা পরিচালক মো. আবুজার গাফফারী, কর্মশালা সমন্বয়ক মো. ফাইম সিদ্দিকী প্রমুখ।

কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২১জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।