বরগুনার তালতলীতে এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ওই স্কুলছাত্রের নাম মো. রাব্বি (১৩)। সে উপজেলার নয়া ভাইজোড়া বিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তসলিম হোসেন। তিনি একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নয়া ভাইজোড়া বিএনএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের সময় শিক্ষার্থীর পিঠে গুরুতর জখম হয়। তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তসলিম স্কুলে রাতে প্রাইভেট পড়ান। শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়া ও পরীক্ষার খাতায় লিখতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। সোমবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ার সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি ও তার সহপাঠীদের সাথে পড়া নিয়ে কথার কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক তসলিম রাব্বিকে অনন্য শিক্ষার্থীদের সামনেই বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে রাব্বিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মারধরে বিষয়ে স্বীকার করে করে বলেন, মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ওই শিক্ষকসহ কমিটির সবাইকে নিয়ে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি ও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া ওই স্কুলে রাতে কোন কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো হবে না।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।