ফটো ফিচার

পূর্ণিমার দ্যুতি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অভিনয় ক্যারিয়ারে তার দুই যুগ পেরিয়ে গেছে। রুপালি পর্দায় তার উপস্থিতি কমে গেলেও দর্শকপ্রিয়তা কমেনি। আর রূপের দ্যুতিও এখনো পূর্ণিমার আলোর মতোই অমলিন।

কাজের চেয়ে সংসার নিয়েই এখন অধিক ব্যস্ত পূর্ণিমা। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর জাঁকজমক আয়োজনে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় কন্যাসন্তান আরশিয়া উমাইজা। কিন্তু দীর্ঘ দিনের এই সংসারের ইতি টেনে চলতি বছরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। গত ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তারপর থেকে আনন্দেই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন।

বিয়ের পর পূর্ণিমা-রবিন মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। সেখানে বেশ কিছু দিন কাটিয়েছেন এই যুগল। কিছুদিন আগে কন্যা ও বর্তমান স্বামীকে নিয়ে উড়ে যান মদিনায়। জানা যায়, ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব ভ্রমণ করেন তারা। সেখানকার বিভিন্ন স্থান ঘুরেবেড়ানোর নানা মুহূর্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এই নায়িকা।

পূর্ণিমা সর্বশেষ নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ এবং ‘জ্যাম’ শিরোনামে দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমা দুটি এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিছুদিন আগে ‘আহারে জীবন’ নামে নতুন একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পূর্ণিমা।

জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন পূর্ণিমা। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় এটি। তখন ক্লাস নাইনে পড়েন পূর্ণিমা। বয়স কম হলেও শরীরি সৌন্দর্য ও অভিনয় গুণে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ২০০০ সালে ‘মিস ডায়না’ ও ‘কাল্লু মামা’ সিনেমায় বেশ খোলামেলা পোশাকে হাজির হয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় তার সবচেয়ে সফল সিনেমা ‘মনের মাঝে তুমি’।

২০০৪ সালে রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম একই নামে নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা। এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের গল্প রাক্ষুসী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রাক্ষুসী’-তে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন পূর্ণিমা। ২০০৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাস্তি গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্র চন্দরা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান এই শিল্পী।

২০০৬ সালে রবীন্দ্রনাথের শুভাসিনী গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘সুভা’ চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় একজন বাক প্রতিবন্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেন পূর্ণিমা। একই বছর তার অন্যতম সফল বাণিজ্যিক সিনেমা ‘হৃদয়ের কথা’ মুক্তি পায়। ২০০৭ সালে ‘ধোকা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা কুড়ান পূর্ণিমা। ২০০৮ সালে তার অভিনীত আরেকটি ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ মুক্তি পায়। ২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথমবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন পূর্ণিমা।