সারা বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড প্রস্তুত 

দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামে বড় কোনো জনসভায় ভাষণ দিবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনকে ঘিরে চট্টগ্রাম এখন উৎসবমুখর। অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীকে। 

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল নগরীর সবচেয়ে বড় মাঠ পলোগ্রাউন্ড জনসভার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এই মাঠে বঙ্গবন্ধুও জনসভা করেছিলেন। এবার এ মাঠেই ভাষণ দিবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি জানিয়েছেন, রোববার (৪ ডিসেম্বর) জনসভায় আগামী দিনে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান. আগামী দিনের স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি শনিবার দুপুরে জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ করে সারা চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে এতে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডে আমাদের জনসভায় মাঠ পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে। এটিই হবে চট্টগ্রামে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। 

জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কি বার্তা দিবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন. আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিলো, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কি করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই- এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা জনগণের দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতেকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জনসভা উপলক্ষ্যে পুরোপুরি নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৭ হাজার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। চট্টগ্রাম নগর ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি জেলার বাইরে থেকেও দেড় হাজার পুলিশ আনা হবে। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে।