সাতসতেরো

বিশ্বকাপ ফুটবল: সৌভাগ্য স্পর্শ করেছিলেন যে অধিনায়কেরা 

২০০২ বিশ্বকাপের  ফাইনালে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। কাফু গেলেন মঞ্চে, অতিথি হয়ে আসা পেলের হাতে থাকা বিশ্বকাপ ট্রফি এবং পোডিয়ামটায় নজর পড়লো ব্রাজিল অধিনায়কের। পেলেকে বললেন, ‘আমি পোডিয়ামে দাঁড়াতে যাচ্ছি।’ পোডিয়ামটা গ্লাসের ছিল বলে পেলের হুঁশিয়ারি, ‘পাগলামি করো না!’ কাফু মানতে নারাজ। দাঁড়ালেন সেই পোডিয়ামের উপর। বলে উঠলেন, ‘রেজিনা, ইউ টি আমো’! অর্থাৎ রেজিনা, আমি তোমাকে ভালোবাসি! বলাবাহুল্য রেজিনা তার স্ত্রীর নাম।  সেদিন বিশ্বকাপ হাতে কাফুর ছবি দেখেছেন অসংখ্য মানুষ। তার মাঝে একজন স্পেনের ইকার ক্যাসিয়াস। ম্যাথাউস, দুঙ্গা, দেশমদের দেখেছেন বিশ্বকাপ হাতে, নিজেও একদিন সেই ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরবেন, স্বপ্ন দেখতেন ক্যাসিয়াস। অধিনায়ক ক্যাসিয়াসের সে স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল শেষমেশ। 

ক্রিকেটের সাফল্যে যেভাবে অধিনায়ককে ‘নায়ক’ রূপে দেখা হয়, ফুটবলে হয়তো তেমন হয় না। ক্রিকেটের মতো হয়তো ফুটবলের অধিনায়ক সেভাবে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন না। তবে দলীয় কোনও খেলায়ই তো আসলে অধিনায়কের গুরুত্ব কমার নয়! এ পর্যন্ত ২১টি বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন ২১ অধিনায়ক। যাদের পজিশন ভেদে আলাদা করলে দেখা যায়- চারজন ছিলেন গোলকিপার, দশজন ডিফেন্ডার, পাঁচজন মিডফিল্ডার ও দুইজন ফরোয়ার্ড।

গোলকিপার

হুগো লরিসের বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নপূরণ হয়ে গেছে। তবু তিনি আরেকবার বিশ্বকাপ জিততে চাইবেন। বারবার বিশ্বকাপ জিততে খারাপ লাগে নাকি! লরিসের সামনে অনন্য এক কীর্তি গড়ার সুযোগও আছে। সামনের বিশ্বকাপে যদি অধিনায়ক হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভাগ্য হয় লরিসের, তবে তিনিই দুইবার অধিনায়ক হয়ে বিশ্বকাপ জেতা পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি হবেন। 

গোলকিপারদের মধ্যে ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা লরিসের প্রথম বিশ্বকাপ ২০১০ সালে। সেবার ফ্রান্স গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে ফ্রান্স কাপ্তানের আর্মব্যান্ড লরিসের হাতে। অধিনায়ক হয়ে বিশ্বকাপ জিতবেন, স্বপ্নটা যেন আরও রঙিন হয়ে উঠলো। কিন্তু ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তই যেতে পারল লেস ব্লুরা। শেষমেশ ২০১৮ সালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারায় ফ্রান্স। এরপরই তো আসে সেই মুহূর্ত-  ট্রফি উঁচিয়ে ধরছেন কাপ্তান! যেমনটা করার সৌভাগ্য আরও তিন গোলকিপারেরও হয়েছিল। 

বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে কল্পনায় দেখা মুহূর্তের বাস্তব অভিজ্ঞতা ক্যাসিয়াসের হয় ২০১০ সালে। ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ক্লিনশিটের রেকর্ডের (১০২ ম্যাচ) মালিক ক্যাসিয়াসের সে বিশ্বকাপটা কেটেছিল অসাধারণ! ২০১০ সালের ওই বিশ্বকাপে রেকর্ড পাঁচ ম্যাচে ক্লিনশিট রেখে গোল্ডেন গ্লাভের মালিকও হয়েছিলেন।  বাকি দুজনই ইতালির। দিনো জফ ও জানপিয়েরো কম্বি। দিনো জফ যখন ১৯৮২ বিশ্বকাপ খেলতে নামেন, ক্যারিয়ারের শেষ বাঁশি বাজার সময় তখন নিকটে। ৪০ বছর ১৩৩ দিন, এত বয়সে কেউ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামেনি, জফের চেয়ে বুড়ো বয়সে আর কেউ বিশ্বকাপ জেতেওনি। 

জানপিয়েরো কম্বি যেবার বিশ্বকাপ জেতেন, সেই বছরের শুরুর দিকে অবসরের চিন্তাভাবনাই করছিলেন। প্রথম পছন্দের তরুণ গোলকিপারের ইনজুরি ও কোচের অনুরোধে খেলেছিলেন এরপর। ভাগ্যিস খেলেছিলেন, ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে ওই একটা বিশ্বকাপই খেলেছিলেন কম্বি, শেষ পর্যন্ত ইতিহাসেরই তো অংশ হয়ে গেলেন। 

ডিফেন্ডার

প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ যখন উরুগুয়ে জয় করে, তখন তাদের বিশ্বজয়ের স্মারক নিতে আসেন যে ভদ্রলোক, তিনি রক্ষণ সামলানোর কাজটাই করতেন। ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ৪-২ গোলে জিতলে বিশ্বকাপ ট্রফি ওঠে উরুগুয়ে কাপ্তান জোসে নাসাজ্জির হাতে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৫৮ বিশ্বকাপ থেকে ১৯৭৮, এই ছয়টি বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক খেলতেন ডিফেন্সে। 

মারাকানা স্টেডিয়ামে একটা স্ট্যাচু আছে, ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই হিলদেরালদো বেলিনির স্ট্যাচু সেটি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ অধিনায়ক হয়ে জিতলেও পরের বিশ্বকাপ বেঞ্চে বসেই কাটিয়ে দিতে হয়েছিল বেলিনিকে। তবে সেবারও বিশ্বকাপটা জিতেছিল ব্রাজিল; নেতৃত্বে এমন একজন ছিলেন, যিনি বেলিনির নেতৃত্বে জেতা বিশ্বকাপে তো খেলতেই পারেননি, এর আগের ১৯৫৪ বিশ্বকাপেও স্কোয়াডে ছিলেন, কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। মাউরো রামোসের বিশ্বকাপ অভিষেকটা হয় একেবারে ক্যাপ্টেনস আর্মব্যান্ড পরেই। ১৯৬২ বিশ্বকাপের ফাইনালে যেখানে এই সেন্টার ব্যাকের অধীনেই দল ৩-১ গোলে চেকোস্লোভাকিয়াকে হারায়।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের সামনেও একটা স্ট্যাচু আছে। স্ট্যাচুটা যার, তিনি ছাড়া নাকি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিততেই পারতো না, তার কোচ বলেছেন এমনটাই। স্ট্যাচুটা ববি মুরের। ওয়েস্ট হামকে দশ বছরের বেশি সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই নামে ইংল্যান্ড। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারাতে দুটি অ্যাসিস্ট করে সাহায্যও করেছিলেন এই ডিফেন্ডার। ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে নিয়ে আরেক কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার তো বলেই দিয়েছিলেন, ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডার। 

৬৬ বিশ্বকাপে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার দেখেছেন ববি মুরকে ট্রফি হাতে উদযাপনে। সেই বিশ্বকাপে চারটি গোলও করেছিলেন বেকেনবাওয়ার, কিন্তু ফাইনালে মুরের ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় পশ্চিম জার্মানি। পরের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকেই ফিরে আসতে হয় বেকেনবাওয়ারদের, যেখানে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। সেলেসাওদের নেতৃত্বে থাকেন আরেক ডিফেন্ডার, কার্লোস আলবার্তো তরেস। ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল, যেখানে ৪-১ গোলের ম্যাচের শেষ গোলটা আসে এই রাইট ব্যাকের কাছ থেকেই। 

১৯৭৪ বিশ্বকাপ ছিল পশ্চিম জার্মানিতে। বেকেনবাওয়ার বলেছিলেন, প্রত্যাশা নাকি চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। সেই প্রত্যাশার চাপ সামলে ফাইনালে ক্রুইফের নেদারল্যান্ডসকে রুখে ২-১ গোলে জয় পায় পশ্চিম জার্মানি। প্রথম ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি উঠে বেকেনবাওয়ারের হাতে। এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হাতে ওঠা ট্রফিটার নাম ছিল জুলে রিমে ট্রফি। বেকেনবাওয়ারই একমাত্র ডিফেন্ডার যিনি দুটি ব্যালন ডি'অর জিতেছেন, ১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে। 

১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালের আগের ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে অধিনায়ক ছিলেন পাসারেলা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালে এরপর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেই নামার সৌভাগ্য হয়, আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফিটার ছোঁয়াও তাই সর্বপ্রথম পান পাসারেলাই। 

বেকেনবাওয়ারের মতো ডিফেন্ডার হয়েও ব্যালন ডি'অর জেতা আরেকজন ফ্যাবিও কানাভারো। যার নেতৃত্বেই ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছায় ইতালি। ফাইনালের দিনটা তার জন্য স্মরণীয় হওয়ার আরেকটা কারণও ছিল। সেই ফাইনালটি যে ইতালির হয়ে তার শততম ম্যাচ ছিল। ওই ম্যাচে রক্ষণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ‘ওয়াল অব বার্লিন’ খেতাব পেয়ে যান, যে ফাইনাল হয়েছিল বার্লিনে। গোল্ডেন বলের দৌড়ে জিদানের কাছে হেরে শেষমেশ দ্বিতীয় হন। তবে ২০০৬ সালে ব্যালন ডি'অর ঠিকই জিতেছিলেন কানাভারো। ওই বছরের বিশ্বকাপটাই ছিল ফিলিপ লামের প্রথম। 

পরের বিশ্বকাপে ইনজুরিতে নিয়মিত অধিনায়ক মাইকেল বালাক ছিটকে পড়লে অধিনায়ক হন লাম। এরপর ২০১৪ বিশ্বকাপ, পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলে আসা জার্মানির অধিনায়কের পরিচয় হয় বিশ্বজয়ের অনুভূতির সঙ্গে। জার্মানিকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় লাম। যে তিন বিশ্বকাপে খেলেছেন এই ফুলব্যাক, তিনটিরই টিম অব দ্য টুর্নামেন্টে জায়গা হয়েছিল তার। ডিফেন্ডার হয়েও ক্যারিয়ার শেষ করেছেন কোনও লাল কার্ড ছাড়াই। ক্লাবের হয়ে ৫১৭ ম্যাচ, জাতীয় দলে ১১৩ ম্যাচ, লাল কার্ড দেখেননি একটিতেও! লামকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুলব্যাকদের একজন মনে করেন অনেকেই। 

তালিকায় যে ডিফেন্ডার বাকি, তাকেও ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুলব্যাকই মানা হয়। ১৯৯৪ সালের ফাইনালে একজনের ইনজুরি তাকে মাঠে নামার সুযোগ করে দিয়েছিল। পরের দুটি বিশ্বকাপে খেলেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েই। যার মধ্যে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে তারই নেতৃত্বে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ যায় ব্রাজিলের ঘরে। কাফু ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টানা তিন তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন। 

মিডফিল্ডার

ডিফেন্ডারদের বেলায় যেভাবে প্যাটার্ন গড়ে উঠেছিল, তেমনই ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ, টানা তিনবারই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ছিলেন মিডফিল্ডার।  দিদিয়ের দেশম যখন ফ্রান্সের ক্যারিয়ার শুরু করছিলেন, ফ্রান্স ফুটবলে তখন ঘোর অন্ধকার। ১৯৯০ এর পরে ১৯৯৪ বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয় লেস ব্লুরা। এরপর দেশমের অধীনেই ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ ঘওে তোলে ফ্রান্স। খেলোয়াড় ও কোচ হয়ে বিশ্বকাপ জেতা দুজনের একজন দেশম, আরেকজন ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার।  ১৯৯০ বিশ্বকাপ লোথার ম্যাথাউস অধিনায়ক হয়ে যখন জিতেন, তাদের কোচ ছিলেন বেকেনবাওয়ার। ম্যাথাউসই একমাত্র আউটফিল্ড প্লেয়ার, যিনি পাঁচবার বিশ্বকাপে খেলেছেন। টানা দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল হারার পর তার নেতৃত্বে বিশ্বকাপের ছোঁয়া পায় জার্মানি। ম্যারাডোনা তার আত্মজীবনী ‘আই অ্যাম দ্য দিয়াগো’ বইতে তাকে নিয়ে বলেছেন ‘সে (ম্যাথাউস) ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।’

১৯৯০ সালে ম্যাথাউসদের উদযাপন দূর থেকে দেখা ব্রাজিলের দুঙ্গা পরেরবার মেতেছিলেন বিশ্বজয়ের উদযাপনে। ব্রাজিলের কোচ দুঙ্গাকে আপনার হয়তো চেনা আছে। তবে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের দলপতি ছিলেন দুঙ্গাই। সেটি ছিল ব্রাজিলের চতুর্থ বিশ্বকাপ, ব্রাজিল প্রথম বিশ্বকাপটা জিতেছিল ১৯৫৮ সালে। এর আগেও জিততে পারতো, কিন্তু ব্রাজিলকে স্তম্ভিত করে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ উরুগুয়ে তুলেছিল ওবদুলিও ভারেলার নেতৃত্বে। যে ভারেলা জানেন না, বিশ্বকাপে হার মানে কী! বিশ্বকাপে যে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন, সবকটিই যে জিতেছেন এই মিডফিল্ডার! 

১৯৫০ সালে ভারেলাদের বিশ্বকাপ জেতার পরের বিশ্বকাপটাও উঠেছিল আরেক মিডফিল্ডারের হাতে, ফ্রিটজ ওয়াল্টার। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে এই মিডফিল্ডার ৩ গোলের সাথে করেন ৬ অ্যাসিস্ট। ফাইনালে যে হাঙ্গেরির মুখোমুখি হয় ওয়াল্টারের পশ্চিম জার্মানি, গ্রুপ পর্বে তাদের বিপক্ষে হেরেছিল ৮-৩ গোলে। সেই হাঙ্গেরিকেই ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়ে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ নেয় পশ্চিম জার্মানি। 

ফরোয়ার্ড

যে দুজন ফরোয়ার্ড অধিনায়ক বিশ্বকাপ জিতেছেন, তাদের নামেই ‘পরিচয়’! একজন দিয়েগো ম্যারাডোনা, সর্বকালের সেরাদের একজন! আরেকজন যিনি আছেন, তাকে হয়তো পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়তেও পারে, তবে ইতালিতে সে কষ্টটুকু করার সম্ভাবনাও নেই। ইতালির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার তিনি! জুসেপি মিয়াজ্জা। ১৯৩৮ বিশ্বকাপ তারই নেতৃত্বে জেতে ইতালি, অবশ্য এর আগের বিশ্বকাপটাও জিতেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।

আর অধিনায়ক ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা কবে জিতেছিল বিশ্বকাপ সব ফুটবলপ্র্রেমীরই জানা। ১৯৮৬ সালের সে বিশ্বকাপটা ম্যারাডোনার কেটেছিল স্বপ্নেরই মতো। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে দুটি করে গোল করেন, মোট পাঁচটি গোলের সাথে পাঁচ অ্যাসিস্টে ‘সোনালি স্বপ্ন’র সাথে গোল্ডেন বলটাও উঠেছিল আর্জেন্টাইন জাদুকরের হাতে।