বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুইটার অফিসে এবার বেডরুম বানাচ্ছেন ইলন মাস্ক!

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বেশ চাপের মুখে রয়েছেন। টুইটার কার্যালয়ে পা রাখার পরপরই ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। 

এরপর টুইটার থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেন তিনি। তার কঠোর ভূমিকার কারণে আরো অনেকে স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে চলে গেছেন। যারা রয়ে গেছেন, তাদের ওপর একের পর এক কঠিন নিয়ম চাপিয়ে দিচ্ছেন ইলন মাস্ক।

কর্মীদের জন্য দুপুরে ফ্রি খাবার সুবিধা বাতিল, বাসায় বসে কাজের সুবিধা বাতিলের পাশাপাশি অফিসে এসে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের নিয়ম চালু করেন তিনি।

গত মাসে টুইটার কর্মীদের বিশেষ একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন ইলন মাস্ক। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ‘কর্মীদের অফিসে দীর্ঘ সময় কাজ করতে রাজি থাকতে হবে, অন্যথায় চাকরি ছাড়তে হবে। টুইটারে টিকে থাকতে চাইলে কর্মীদের এভাবে কাজ করতে রাজি হতে হবে। যারা নতুন এই নিয়মের চুক্তিতে সই করবেন না, তাদের তিন মাসের বেতন দিয়ে বিদায় করা হবে।’

আর এবার জানা গেছে, টুইটার সদর দপ্তরের বেশ কিছু কনফারেন্স রুম খালি করে সেগুলোকে বেডরুমে পরিণত করেছেন ইলন মাস্ক। তবে কেন তিনি অফিসের মধ্যে বেডরুম তৈরি করছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ফোর্বসের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (৫ ডিসেম্বর) টুইটারের সান ফ্রান্সিসকো কার্যালয়ের কর্মীরা অফিসে যাওয়ার পর এমন ঘটনা দেখতে পান। অফিসের প্রতিটি ফ্লোরেই ৪-৮টি বেডরুম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি রুমেই আছে ছোট ছোট বেড, পর্দা, বেডসাইড টেবিল, অফিস আর্মচেয়ার ও গালিচা।

প্রাথমিকভাবে টুইটার কর্মীদের ধারণা, সম্প্রতি ইলন মাস্ক কর্মঘণ্টা বাড়নোর যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটি সেই পরিকল্পনারই অংশ। কর্মীরা যাতে অফিসে থেকেই দিনরাত কাজ করতে পারেন সেজন্য এই বেডরুমগুলো তৈরি করা হয়েছে।

অবশ্য কর্মীরা বলছেন, বেডরুমগুলো কেন তৈরি করা হচ্ছে সে বিষয়ে অফিসের পক্ষ থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। যদি আমরা যা ধারণা করছি সেটিই ঠিক হয়, তবে তা হবে কর্মীদের জন্য চরম অপমানজনক। কারণ আমাদের কোনো মতামত না নিয়েই অফিসে থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত করে ফেলা হচ্ছে।

টুইটার কর্মীদের ওপর মাস্কের মালিকানার কেমন প্রভাব পড়েছে, তা গতমাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবি দেখেই অনেকে আন্দাজ করেছিলেন। ওই ছবিতে টুইটার সদর দপ্তরের একজন ম্যানেজারকে রাতে অফিসের মেঝেতেই বিছানা পেতে ঘুমাতে দেখা গিয়েছিল।