আইন ও অপরাধ

জেলখানায় গোপন অ্যাপে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতো ৫ জঙ্গি

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের পাঁচ সদস্য জেলখানা থেকে অনলাইন ভিত্তিক গোপনীয় অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় আনসার আল ইসলামের ৫ সদস্যের ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের সাব-ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ মুসাদ্দিমুল হক। রিমান্ড আবেদনে এসব কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।

যাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর। 

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর আনসার আল ইসলামের সদস্যরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটক থেকে পুলিশকে মারধর করে দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে মোহাম্মদ থানার মামলায় কারাগারে থাকা ১০ আসামিকে কোতোয়ালী থানার দায়ের করা জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় রাতেই ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে আবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলার রিমান্ড শেষে ওই ৫ সদস্যকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করে সিটিটিসি।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা মুসাদ্দিমুল হক বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার এজাহার নামীয় আসামি জাকির হোসেন ওরফে ইব্রাহিমকে গত ১৭ নভেম্বর দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে থাকাকালে সে জানায়, বর্তমান আনসার আল ইসলামের মাস্টারমাইন্ড খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুরসহ আরও ২০/২৫ জন সদস্য পুরো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারা জেলখানা থেকে অনলাইন ভিত্তিক গোপনীয় অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। বর্তমানে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত ২০ নভেম্বর সংগঠনের সদস্যরা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুর্ধর্ষ আসামি ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটায়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য পলাতক জঙ্গিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, অর্থায়নের উৎস, জঙ্গি সংগঠনের পলাতক সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য আসামিদের ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।